চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরানকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দুই দুর্বৃত্ত রাম দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ইমরানকে দ্রুত কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
আল ইমরান (২৫) পৌরসভার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছোট ছেলে। সে আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী আহাদ আলী জানান, ইমরান বেলা ১১টার দিকে গোবিন্দপুর মাঠপাড়ার ব্যাংকার ফখরুল ইসলামের বাড়ির সামনের পুকুরে মাছ ধরার জন্য বসেছিল। পূর্ব শত্রæতার জের ধরে মাসুদ ও সাকিব নামে দুই যুবক রাম দা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমি (আহাদ আলী) দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ইমরানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা। হামলাকারী দুই জন উপজেলার কুমারি ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মাসুদ ও পৌর এলাকার নওদাবণ্ডবিল গ্রামের মজিবার রহমানের ছেলে সাকিব। স্থানীয়রা জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় ইমরান দৌড়ে পুকুরের মধ্যে পড়ে যায়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ইমরানকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইমরানের পিতা আব্দুল জলিল জানান, চার মাস আগে পৌর এলাকার নওদাবণ্ডবিল গ্রামের সাকিব ও ওই গ্রামের ভাগ্নে দুর্লবপুর গ্রামের মাসুদসহ কয়েকজনের সঙ্গে ইমরানের দ্ব›দ্ব দেখা দিলে থানায় বসে তা সমঝোতা হয়। কিন্ত আজ একা পেয়ে তারাই কুপিয়ে ইমরানকে হত্যা করেছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার সালমুন আহাম্মদ ডন বলেন, ইমরান খুব ভালো ছেলে ছিল। তাকে যারাই হত্যা করুক, আমরা এলাকাবাসী হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পূর্বশত্রæতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। কুষ্টিয়া নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইমরান পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ও আলমডাঙ্গা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছি।