মর্টার শেল নিক্ষেপ,: রোহিঙ্গা নিহত, আহত ছয়জন

আগের সংবাদ

মাঠে মারমুখী আওয়ামী লীগ

পরের সংবাদ

জোয়ারের পানিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি : কলাপাড়ার ৬০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই কাঁচা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস কে রঞ্জন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে : কলাপাড়া উপজেলার অবহেলিত জনপদের নাম চম্পাপুর ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে ৬০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে মাত্র ৬ কিলোমিটার পাকা। তার মধ্যেও প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দে ভরা। কোনো কোনো স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কার্পেটিং উঠে গিয়ে দেবে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন চালানো তো দূরে কথা হেঁটে চলাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আর অভ্যন্তরীণ কাঁচা রাস্তাগুলোতে বর্তমানে হাঁটু সমান কাদা রয়েছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করতে পারলেও বর্ষাকালে চরম ভোগান্তিতে পড়ে ওই ইউনিয়নের মানুষ। এমন চিত্র ফুটে উঠেছে উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নে।
জানা গেছে,পার্শ্ববর্তী বৃহত্তর ধানখালী ইউনিয়ন থেকে বিভক্ত হয়ে ২০১১ সালে ১২টি গ্রাম নিয়ে এ ইউনিয়নটি গঠন হয়। এখানে ১২টি সরকারি, ২টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১টি দাখিল মাদ্রাসাসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ইউনিয়নটিতে মোট ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। বিশাল এ জনবসতিপূর্ণ ইউনিয়নের ৬০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৫৪ কিলোমিটারই কাঁচা সড়ক। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থাকলেও তাও আবার একটি একচাল টিনের ঘর। সেখানে বসেই চলছে ইউনিয়নের সব কার্যক্রম। তবে এসব রাস্তাঘাট পাকাকরণসহ সংশ্লিষ্ট স্থাপনা নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
ওই ইউনিয়নের বাংলাবাজারের ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, রাস্তার যে অবস্থা তাতে উপজেলা সদর থেকে মালামাল আনতে হিমশিম খেতে হয়। যে রাস্তাটুকু পাকা রয়েছে তাও ভাঙাচোরা। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। রাস্তা মেরামত ও কাঁচা রাস্তা পাকা করার জন্য তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা আলতাফ গাজী বলেন, চম্পাপুর ইউনিয়নটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে। দেশে এত উন্নয়ন হচ্ছে, অথচ এ ইউনিয়নে তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এমন কথা বলেছেন ওই ইউনিয়নের আরো অনেকে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাসের স্পন্সরশিপ অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চম্পাপুর ইউনিয়নের প্রায় নব্বইভাগই কাঁচা রাস্তা, যতটুকু পাকা রাস্তা আছে তা উচ্চ জোয়ারের কারণে ভেঙে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এ জনপদের মানুষ, যা এখনকার সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত দুঃখজনক।
ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু মোল্লা বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে অত্যন্ত অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে এ ইউনিয়ন। বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানি প্রবেশ করে কাঁচাপাকা রাস্তাঘাটগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এসব ভাঙা সড়ক পাকাকরণ ও ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানান।
চম্পাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, ২০১১ সালে বৃহত্তর ধানখালী ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে চম্পাপুর ইউনিয়ন গঠিত হয়। এরপর থেকে রাস্তাঘাট নির্মাণ ও মেরামতের জন্য উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে একাধিকবার আলোচনা করে আসছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ ইউনিয়নটির প্রতি সুদৃষ্টি দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার উন্নয়ন এলজিইডির উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোহর আলী বলেন, ওই ইউনিয়নের পাকা সড়কটি সংস্কারের প্রক্রিয়া চলছে। আরো কিছু সড়ক পাকাকরণের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়