মিতু হত্যাকাণ্ড : আদালতে চার্জশিট দাখিল, শুনানি ১০ অক্টোবর

আগের সংবাদ

নতুন ৮ নদীর পানিবণ্টনে নজর : আলোচনায় সম্মত বাংলাদেশ ও ভারত, আগামী মার্চ এপ্রিলে ঢাকা সফরের সম্ভাবনা ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রীর

পরের সংবাদ

অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ মহম্মদপুর সদর : দুপাশের প্রবেশপথ চলাচলের অযোগ্য

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে মহম্মদপুর উপজেলা সদরের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে উপজেলা সদরে প্রবেশের দুপাশের রাস্তায় পানি জমে কাদাপানিতে একাকার হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ যানবাহন চালকদের।
জানা যায়, উপজেলা সদরে একপাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও এই দুই প্রবেশপথের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। তাই অল্প বৃষ্টিতেই সদরে ঢোকার দুই পাশের প্রবেশপথ কাদাপানিতে একাকার হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ফলে গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে বাজার বা বাজারে ঢোকার রাস্তাগুলোয় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরে ঢোকার উত্তর দিকের একমাত্র রাস্তা আহম্মদ-মহম্মদ সড়ক। এই প্রবেশপথে গত দুদিনের বৃষ্টিতে পানি জমে পুকুরে পরিণত হয়েছে। তাই প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় বিভিন্ন কাজে উপজেলা সদরে আসা উত্তর অঞ্চলের ১২ থেকে ১৪টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এবং উপজেলার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের। উপজেলা সদরে প্রবেশের বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়েই হাজারো পথচারী এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাফেরা করছে। উপজেলা পরিষদের সামনের এই সড়কে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে পুকুরে পরিণত হয়। এই সড়কে রয়েছে একটি দাখিল মাদ্রাসা, কারিগরি কলেজ, একটি স্কুল এন্ড কলেজ, এতিখানা ও কেন্দ্রীয় গোরস্থান। তাই উত্তর অঞ্চলের হাজারো মানুষের পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও এই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
অপরদিকে থানা রোডের প্রবেশদ্বারের সড়কটি ছোট-বড় খানাখন্দে ভরে গেছে, যা অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে কাদাপানিতে পরিণত হয়। এর ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় মহম্মদপুর থানাসহ ওই অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের শতশত মানুষের। এছাড়াও এই সড়ক সংলগ্ন স্থানে রয়েছে একটি বালিকা বিদ্যালয় ও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। ছাত্রীদেরও এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মহম্মদপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, উপজেলা সদরে ঢোকার দুইপাশের প্রবেশদ্বারে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে পুকুরে পরিণত হয়। ফলে বাইরের ক্রেতা বা বিক্রেতারা সদরে আসতে চায় না। এতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসায়ীরা। তাই এ দুর্ভোগ নিরসনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, বাজারের ব্যবসায়ীসহ সর্বসাধারণের কথা চিন্তা করে বাজারের মধ্যে পূর্বেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনস্বার্থে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে আবারো প্রকল্প গ্রহণ করে যতদ্রুত সম্ভব ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়