মাদক দিয়ে ফাঁসানো পুলিশসহ তিনজন কারাগারে

আগের সংবাদ

বাণিজ্যিক জাগরণের সম্ভাবনা > উত্তর-পূর্বের দুয়ার খুলছে : কানেক্টিভিটিতে গুরুত্ব বাংলাদেশ ও ভারতের

পরের সংবাদ

চার প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে মানববেতর জীবন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেরপুর প্রতিনিধি : চার সন্তান প্রতিবন্ধী। তবু ভাগ্যে জোটেনি সরকারি-বেসরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা। তাই অশীতিপর বিধবা আমেলা বেগমের দিন কাটে অনাহারে অর্ধাহারে।
আমেলা বেগম (৯০) ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের উত্তর দাড়িয়ারপাড় গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর স্ত্রী। আব্দুল আলী পেশায় ছিলেন একজন দিনমজুর। ৩০ বছর আগে স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান রেখে মারা যান তিনি।
আমেলা বেগমের ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের ভরনপোষণের তাগিদে আমেলা বেগম পাড়ি জমান ঢাকায়। অন্যের বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সন্তানদের ভরণপোষণ দিতেন। তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখে ঢাকার একজন সহৃদয়বান ব্যবসায়ী আমেনা বেগমের বাড়িতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেন। কিছুদিন পর আমেলা সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন বাড়িতে। বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। আমেলা বেগমের এক মেয়ে আবেদার বিয়ে হয়েছে। তিনি বলেন, তার ছোট বোন আফরোজা, দোলেনা, অজুফা ও ছোট ভাই আলী হোসেন মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী। তার মা আমেলা বেগমের বয়স শতবছর ছুঁই ছুঁই। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভিক্ষাবৃত্তিও করতে যেতে পারছেন না তিনি। ফলে চার প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন আমেলা বেগম।
ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, দুই জনকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় দুইজনের কার্ড হয়নি। সামনে বাকিদের কার্ড করে দেয়া হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ, স্থানীয় বাসীন্দা আব্দুল আজিজ, আব্দুল মজিদ শাজাহান আলী জানান, দুস্থ এই পরিবারটিকে বাঁচাতে প্রয়োজন সরকারি, বেসরকারি ও সমাজের বৃত্তবানদের সহযোগিতা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়