বাম গণতান্ত্রিক জোটের হুঁশিয়ারি : দমন-পীড়ন করে গদি রক্ষা করা যাবে না

আগের সংবাদ

চার কারণে ভ্যাট আদায়ে বিপর্যয়

পরের সংবাদ

হিন্দু বাড়িতে হামলা ভাঙচুর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : বাউফলের নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ভোট দেয়ায় হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা। হামলায় তিনটি হিন্দু পরিবারের বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। পরিবারগুলোকে এলাকা ছেড়ে যেতে হুমকি দেয়া হয়েছে। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নিজ তাঁতেরকাঠি গ্রামের সুধীর দেবনাথের বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটেছে।
সরজমিন গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুরা জানান, গত মঙ্গলবার নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে তারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. ইব্রাহিম ফারুকের সমর্থক ছিলেন ও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম মহসিন বিজয়ী হন। ঘটনার দিন গত বুধবার সকালে বিজয়ী চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকরা ওই হিন্দু বাড়িতে ঢুকে তাদের এলাকা ছাড়ার জন্য হুমকি দেন। ওই দিনই রাত ১০টার দিকে হিন্দু বাড়ির তিনটি বসতঘর কোপানোসহ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় হিন্দুদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন, অন্যথায় ঘরে আগুন দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়ির বেশিরভাগ পুরুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এখন তারা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। হামলার শিকার কল্পনা রানী দেবনাথ (৪০) বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার অপরাধে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আগামী চার বছরের জন্য এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে গেছেন। অন্যথায় ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেবেন বলেও বলে গেছেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। নমিতা রানী (৩০) বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে আমার স্বামী এখন পলাতক। শিশু সন্তান নিয়ে ভয়ের মধ্যে দিন কাটছে। ঘরে কোনো বাজারসদাই নেই। খাওয়া-পরাও নেই। হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পটুয়াখালী জেলা ও বাউফল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। নৌকার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেন সদ্য বিজয়ী নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মহসিন।
বাউফল থানার ওসি মো. আল-মামুন বলেন, ওই হিন্দু বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়