৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

রেকর্ড গড়ে পিএসজিকে জেতাল এমবাপ্পে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : যতই দিন যাচ্ছে ফুঠবল মাঠে ততই চমক দেখাচ্ছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। এমনকি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাসের বিপক্ষে পিএসজির জার্সি গায়ে জোড়া গোল করে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এই তারকা। সর্বকণিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে লিগে ৩৫ গোলের মালিক হয়েছেন এমবাপ্পে। তিনি এই আসরে ৩৫ গোল করেছেন ২৩ বছর ২৬০ দিন বয়সে। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এতোদিন ধরে সর্বকণিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ৩৫ গোলের রেকর্ড ছিল লিওনেল মেসির দখলে। তিনি ২৩ বছর ৩০৮ দিন বছর বয়সে করেছিলেন নিজের ১২৫ গোলের মধ্যে ৩৫তম গোলটি। এছাড়া এমবাপ্পের জোড়া গোলের সুবাদে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে প্যারিসের ক্লাব পিএসজি। এর ফলে ক্রিস্টোফ গাল্টিয়ার শিষ্যরা পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিশন শুরু করল।
এদিকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অন্য ম্যাচে সেভিয়াকে উড়িয়ে যাত্রা শুরু করল ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। হলান্ড ২টি ও একটি করে গোল করেন ফোডেন ও দিয়াস। এছাড়া মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াইয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটিও বড় জয়ে শুরু করেছে। রিয়াল মাদ্রিদ দুদার্ন্ত লড়াই করে ৩-০ গোলে সেল্টিকের বিপক্ষে জিতেছে। কার্লো আনচেলোত্তির শিষ্যরা বেশ দাপটেই খেলেছেন। আর ম্যানচেস্টার সিটি ৪-০ গোলে জিতেছে সেভিয়ার বিপক্ষে।
এছাড়া একটা সময় ছিল যখন মেসি ও রোনালদো মাঠে খেলতে নামলেই কোনো না কোনো নতুন রেকর্ড গড়তেন। দুজনের মধ্যে রেকর্ড ভাঙা গড়ার প্রতিযোগিতা চলত। ইদানিং এমনটা দেখা যায় না। এখন রকর্ড ভাঙা গড়ার প্রতিযোগিতা চলছে এমবাপ্পে ও আর্লিং হলান্ডদের। তবে ফরাসি তারকার চেয়ে কম বয়সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩৫ গোল করতে পারেননি আর কেউ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এ তালিকায় আরো আছেন, রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি রাউল গঞ্জালেস ২৫ বছর ৮২, করিম বেনজেমা ২৬ বছর ৬৯ ও টমাস মুলার ২৬ বছর ১৮৫ দিন। আর এই লিগে সর্বোচ্চ ১৪০ গোলের মালিক রোনালদো নিজের ৩৫তম গোলটি করেছিলেন ২৭ বছর ৬৯ দিন বয়সে।
এদিকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে পার্ক দি প্রিন্সেসে পঞ্চম মিনিটেই গোলের খাতা খোলেন এমবাপ্পে। নেইমারের বাড়ানো বুদ্ধিদীপ্ত পাস থেকে জুভেন্টাসের জালে বল জড়ান ফরাসি তারকা। ২২তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির অ্যাসিস্টে দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপ্পে। ৫৩তম মিনিটে জুভেন্টাসের ব্যবধান কমান ওয়েটসন ম্যাকেঞ্জি। এরপর কয়েকবার সমতাসূচক গোলের খুব কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হয় ইতালিয়ান জায়ান্টরা। দুর্দান্ত সেভে পিএসজির জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক দোনরুম্মা। ম্যাচে মোট ৬টি সেভ করেন তিনি।
এছাড়া অন্য ম্যাচে সেভিয়াকে পাত্তাই দেয়নি ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা সিটি সুযোগ তৈরি করলেও লক্ষ্যে শট রাখতে পারছিল না। চাপ ধরে রেখে ২০ মিনিটে প্রথম প্রচেষ্টা লক্ষ্যে রাখে তারা এবং সেটাই গোল। ডান দিক থেকে দূরের পোস্টে দারুণ ক্রস বাড়ান কেভিন ডে ব্রুইনে, ঠিক সময়ে হলান্ড ছুটে গিয়ে পা উঁচু করে বলের দিক পাল্টে দলকে উল্লাসে ভাসান। সেভিয়া প্রতি-আক্রমণে উঠে গোলের উদ্দেশ্যে দুটি শট নেয়, তবে কোনাটিই লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। হলান্ডের পাস ধরে ওয়ান-অন-ওয়ানে নিচু শট নেন ডে ব্রুইনে, কোনোমতে সেটা ঠেকিয়ে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক। একের পর এক আক্রমণের দ্বিতীয় সাফল্য মেলে ৫৮তম মিনিটে। ডি-বক্সে জোয়াও কানসেলোর ছোট পাস ধরে সময় নিয়ে একজনের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে কাছের পোস্ট ঘেঁষে গোলটি করেন ফোডেন। ৯ মিনিট পর ব্যবধান আরো বাড়িয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন হলান্ড। ফোডেনের নিচু শট গোলরক্ষক ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, সামনেই ফাঁকায় দাঁড়ানো ২১ বছর বয়সী তারকা অনায়াসে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে দলের চতুর্থ গোলটি করেন দিয়াস। ডান দিক থেকে কানসেলোর ছয় গজ বক্সে বাড়ানো পাস ফাঁকায় পেয়ে জালে ঠেলে দেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।
এছাড়া দিনের অন্য ম্যাচে স্কটল্যান্ডের সেল্টিক পার্কে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথমার্ধে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ভাগ্য সহায় না হলে ম্যাচের মাত্র ২১ মিনিটেই পিছিয়ে পড়তে পারত তারা। প্রথমার্ধে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় রিয়াল, যখন তারকা স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। হাঁটুর চোটে আধঘণ্টার বেশি খেলতে পারেননি তিনি। তার বদলি হিসেবে নামা ইডেন হ্যাজার্ড এই অর্ধে রিয়ালের সেরা সুযোগটি তৈরি করেন। ৪৩ মিনিটে তার রক্ষণচেরা পাস ধরে ভিনিসিয়াস এগোতে থাকেন সেল্টিকের গোলের দিকে। তবে ওয়ান-অন-ওয়ান পরিস্থিতিকে দারুণ দক্ষতায় তরুণ ভিনিসিয়াসকে হতাশ করেন সেল্টিকের বর্ষীয়ান ইংলিশ গোলরক্ষক জো হার্ট।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ থেকে ৬০, এই পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে স্বাগতিকদের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয় রিয়াল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়