৪ বোন চুরি করেই পালাত অন্য জেলায়

আগের সংবাদ

সফরে প্রাপ্তির পাল্লাই ভারী

পরের সংবাদ

বাউফলে উপনির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা : আ.লীগ অফিসসহ ঘরবাড়ি ভাঙচুর এলাকাছাড়া নৌকার সর্মথকরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রতিনিধি, বাউফল (পটুয়াখালী) : বাউফলের নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের পর সহিংসতায় এক সংবাদিকের বাড়ি, দুটি আওয়ামী লীগ অফিসসহ নৌকার সমর্থকদের ২৫টি ঘরবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নৌকার সমর্থকদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও। সহিংস ওই ঘটনার পর ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নৌকার প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মী-সর্মথক। গত মঙ্গলবার রাতভর উপনির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মহসিনের সমর্থকরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে ৬৫ ভোটে নৌকার প্রার্থী মো. ইব্রাহিম ফারুককে হারিয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (চশমা) এস এম মহসিন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় সহিংসতা। বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা তাণ্ডব চালিয়ে বাড় ডালিমা ও ছয়হিস্যা আওয়ামী লীগ অফিস, বাউফল প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক জিএম ফোরকানের বসতঘরসহ নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরাদ গাজী, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি সদস্য আনসার উদ্দিন খান, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম বাবু, কচুয়া গ্রামের জসিম খান, বড় ডালিমা গ্রামের আবদুল্লাহ, জামাল সরদার, স্বপন সরদার, কাশেম গোলদার, ইয়ার হোসেন, মাহফুজ, রামনগর গ্রামের দুলাল মৃধা, মামুন মৃধা, ছয়হিস্যা গ্রামের রাজ্জাক মাস্টার, মালা, বারেক গাজী, লুৎফার মাস্টার, নিদমী গ্রামের শহিদ হাওলাদার, রিয়াজ বেপারী, হানিফ সরদার, তাঁতেরকাঠী গ্রামের মোতালেব এবং ইউসুফ সরদারের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া রামনগর বাজারে নৌকার সমর্থক মামুন মৃধা, কামাল হোসেন হাওলাদার, বাকলা বাজারের মাহবুব, শহিদুল ইসলাম, নিমদী বাজারের নজরুল তালুকদার, ধানদী বাজারের মহসিন মৃধা, ছয়হিস্যা বাজারের বাচ্চু মোল্লা এবং বৌ বাজারের জলিল সরদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নাজিরপুর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. আনসার উদ্দিন খানের বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় ঘরের আসবাবপত্র। রামদা দিয়ে কোপানো হয় ঘরের চারপাশের টিনের বেড়া এবং রান্না ঘরের হাড়ি-পাতিল।
কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রিয়াদুল ইসলাম বাবু বলেন, আমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে যেতে পারছি না।বাউফল প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক জিএম ফোরকান বলেন, নজিরবিহীন হামলা চালানো হয়েছে আমার বাড়িতে। সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেছে আমার বসতঘর। এ বিষয়ে বিজয়ী চেয়ারম্যান এসএম মহসিনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অফিসার মো. আল-মামুন বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়