মা-বাবার অভিযোগ : মেয়ে ও জামাই বাড়ি দখল করতে মরিয়া

আগের সংবাদ

প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

পরের সংবাদ

বৃষ্টিতে স্বস্তি ছাতকের আমন চাষিদের : বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শংকর দত্ত, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে : গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে ছাতকের আমন চাষিদের মুখে। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নতুন উদ্যমে আমনের রোয়া রোপণ শুরু করেছিলেন চাষিরা। তবে খরায় আবারো ফসল নষ্টের আশঙ্কায় পড়েন তারা। বৃষ্টিতে সেই শঙ্কা অনেকটাই দূর হয়ে গেছে।
কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, বোরো ধান রোপণের সময় কয়েক হাজার টাকা ধার করেছি। বন্যায় জমির সব ধান নষ্ট হয়েছে। এবার আমন লাগাচ্ছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে। প্রায় সবগুলো জমিতে চারা রোপণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। গতবারের মতো যদি এবারো বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যায় তবে ঋণের চাপে ঠিকে থাকা কঠিন হবে।
সরজমিনে দেখা গেছে, গ্রামের ফসলের মাঠে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা। তবে ধান রোপণের পর পানির কারণে অনেক কৃষকই দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। কয়েক দিনের পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে ফসলের অনেক উপকার হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। আগাম ধানের চারা রোপণ করায় ক্ষতি থেকে রক্ষা, উৎপাদন এবং দাম ভালো পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জাউয়া ইউনিয়নের ঝামক গ্রামের কৃষক ময়না বলেন, ধান চাষ করে যা পাই তা দিয়েই সংসার চালাই। গেল বন্যায় অনেক ধান পানিতে ভেসে গেছে। এবার আমন ধানের চারা লাগাচ্ছি। বন্যা না আসলেই আল্লাহ বাঁচাবে। বহু টাকা পয়সা ধারকর্য করে এবার আমন লাগাচ্ছি। গত রবিবার দিনভর বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সর্বত্র চলছে আমন রোপণের ধুম। ছোট-বড় বিল-হাওরে দেখা গেছে কৃষকদের কর্মব্যস্ততার চিত্র। পানিতে টইটম্বুর জমিতে উৎসবমুখর পরিবেশে তারা চারা রোপণের কাজ চলমান রেখেছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় আমন জমির পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর। চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমি। যার মধ্যে ১১ হাজার ৭৫০ হেক্টরের রোপণ হয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আমন চাষ হতে পারে- এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে রোপা আমনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। আমনের চাষাবাদ শেষ হবে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে। এবার উপজেলায় ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে সরকারিভাবে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ২ হাজার ১০০ কৃষকের প্রত্যেককে বিনামূল্যে পাঁচ কেজি উন্নত জাতের বীজ ও ২০ কেজি সার দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরো ৫০০ কৃষককে স্থানীয় জাতের আমনের বীজ, ২০০ জনকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এবার আগেভাগেই আমন আবাদে নেমে পড়েন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান বলেন, সম্প্রতি বন্যার কারণে অনেক কৃষকই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিনামূল্যে ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করছি আমনের ফলন ভালো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়