ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

গোমস্তাপুরে সার সংকটের গুজব ছড়াচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : গোমস্তাপুরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে কৃষকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার পাচ্ছেন। কৃষি অফিস জানায়, গোমস্তাপুর উপজেলায় বিসিআইসির ১০ জন ও বিএডিসির ৯ সার ডিলার রয়েছে। এসব ডিলারের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সার বিতরণ করা হচ্ছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ জানান, গত আগস্ট মাসে ইউরিয়া সার ১২৮৬ মে. টনের মধ্যে সবই উত্তোলন হয়ে গেছে। চলতি মাসে ৪৪৫ মে. টন বরাদ্দ পেয়েছি। তার মধ্যে রবিবার পর্যন্ত উত্তোলন হয়েছে ১০৫ মে. টন, মজুদ রয়েছে ৩৪০ মে. টন। গত আগস্ট মাসে ডিএপি সার বরাদ্দ পেয়েছি ৩০৫ মে. টন। তার সবগুলোই উত্তোলন করা হয়েছে। চলতি মাসে ডিএপি বরাদ্দ পেয়েছি ৫২৯ মে. টন। বিতরণ হয়েছে ৪৩.৫ মে. টন, মজুদ রয়েছে ৪৮৫.৫ মে. টন। টিএসপি বরাদ্দ ছিল ৮০ মে. টন, যার সবই উত্তোলন হয়েছে। চলতি মাসে বরাদ্দ ১০০ মে. টন। এখন পর্যন্ত উত্তোলন হয়েছে ৬.৮ মে. টন, মজুদ রয়েছে ৯৩.২ মে. টন। এমওপি বরাদ্দ ছিল ২৪৮ মে. টন। তার মধ্যে উত্তোলন করা হয়েছিল ২০১.৫ মে. টন। মজুদ ছিল ৪৬.৫ মে. টন। কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ বলেন, আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সিøপের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সার দেয়া হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে সার বিক্রি করলে তাদের দুই দফায় মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
উপজেলার বিসিআইসি ডিলার মেসার্স কবির ট্রেডার্সের পরিচালক জীবন ও বিএডিসির মেসার্স ফারিয়া ট্রেডার্সের পরিচালক রুহুল বলেন, আমরা সিøপের মাধ্যমে কৃষকদের সার দিচ্ছি, কৃষক ভালোভাবে সার পাচ্ছে।
এদিকে উপজেলার রাধানগর, পার্বতীপুর, চৌডালা, গোমস্তাপুর, বাঙ্গাবাড়ী, আলীনগর, বোয়ালিয়া ইউনিয়ন ও রহনপুর পৌর এলাকা ঘুরে জানা যায়, একটি অসাধু মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সার সঙ্কটের গুজব ছড়িয়ে একই ব্যক্তি বারবার সার তুলছে এবং আত্মীয়স্বজন দিয়ে সার মজুদ করার চেষ্টা করছে। কৃষি অফিস কঠোরভাবে মনিটরিং না করলে সব ডিলারকে সার কালোবাজারীদের হাতে পৌঁছে যেত এবং কৃষকদের বাড়তি মূল্যে সার কিনতে হতো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়