ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

অধরা শিরোপার সন্ধানে কাঠমান্ডুতে সাবিনারা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগামীকাল থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ পুরুষ দল একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৯ বছর আগে। তবে সাফ নারী ফুটবলে বাংলাদেশ কখনো চ্যাম্পিয়নই হতে পারেনি। দেশের নারী ফুটবল এগোলেও সেটা আসলে বয়সভিত্তিক স্তরে।
মেয়েদের জাতীয় গত ৫টি সাফ নারী টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ একবারই ফাইনাল খেলেছে। সেটি ২০১৬ সালে চতুর্থ আসরে, সর্বশেষ ২০১৯ সালে নেপালে বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনালে। এবার বাংলাদেশের মেয়েদের অনেক কঠিন দলের বিপক্ষে খেলতে হবে। র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ভারত নারীদের ফিফা র‌্যাঙ্কিং বর্তমানে ৫৬ অন্যদিকে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থান ১৪৬ নাম্বারে তবে র‌্যাঙ্কিং দিয়ে বিবেচনা এখন করা হচ্ছে না বাংলাদেশ নারীদের। র‌্যাঙ্কিং ৮৫তম স্থানে থাকা মালয়েশিয়াকে ৬-০ গোলে হারিয়ে দেয়া বাংলাদেশ নিশ্চিত অনেক শক্তিশালী দল এখন। পাকিস্তান নারী ফুটবল দল ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১২৭তম স্থানে। নেপাল ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১০১ নাম্বার অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ভুটান ১৭৬ ও মালদ্বীপ ১৫৩ এবং শ্রীলঙ্কা ১৪৯তম স্থানে। বাংলাদেশের মেয়েরা পরশু নেপালে পৌঁছে একদিন পর গতকাল বিকালে কাঠমান্ডু আর্মি হেড কোয়ার্টার মাঠে অনুশীলন করে। আজ নেপাল পুলিশ মাঠে অনুশীলন করবে গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
এবার সাফে গ্রুপ ‘এ’ রয়েছে চারটি দল বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান মালদ্বীপ। গ্রুপ ‘বি’ রয়েছে তিনটি দল নেপাল ভুটান ও শ্রীলঙ্কা। এই দুই গ্রুপের ৪টি দল সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। গ্রুপ এ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে দুই দল এবং গ্রুপ বি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে দুই দল এই মোট চারটি দল সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। সেমিফাইনালে গ্রুপ এ চ্যাম্পিয়ন ও গ্রুপ বি রানার্স আপ দল সেমিফাইনাল ম্যাচ দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এবং গ্রুপ এ রানার্স আপ এবং গ্রুপ বি চ্যাম্পিয়ন দল সেমিফাইনালের ম্যাচ সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল ম্যাচ ১৯ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য ব্যস্ত একটি মাস। এই মাসে জাতীয় পুরুষ, জাতীয় নারীসহ চারটি দলের রয়েছে আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা। আজ থেকে শুরু হয়ে এই ব্যস্ততা চলবে মাসব্যাপী। শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মিশন দিয়ে। বয়সভিত্তিক এই সাফের টুর্নামেন্ট আজ শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয়। বাংলাদেশসহ ৬টি দেশ অংশ নেবে এই টুর্নামেন্টে। বাংলাদেশ ‘এ’ গ্রুপে খেলছে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের বিপক্ষে। ‘বি’ গ্রুপের তিন দল নেপাল, ভারত ও ভুটান। কিশোরদের সাফ শুরুর পরদিন ( মঙ্গলবার) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে পর্দা উঠছে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের। সাতটি দেশ দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলবে ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপের বিপক্ষে। ‘বি’ গ্রুপের তিন দল নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা।
নেপাল ও শ্রীলঙ্কার টুর্নামেন্ট চলাকালীন বাহরাইনে হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাই। বাহরাইনে ‘বি’ গ্রুপের খেলা হবে ১০ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বাংলাদেশের সঙ্গে এই গ্রুপে রয়েছে কাতার, নেপাল, ভুটান ও স্বাগতিক বাহরাইন।
যুবাদের ও সাবিনাদের অ্যাসাইনমেন্টের মাসে আছে জামাল ভূঁইয়াদেরও খেলা। সেপ্টেম্বরেই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল খেলবে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। এরপর নেপাল গিয়ে হিমালয়ের দেশটির বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে এই যখন নড়বড়ে অবস্থা বাংলাদেশের, সেখানে ষষ্ঠ সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখা বাড়াবাড়িই। আগের ৫ বারই চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারত এবারও এগিয়ে। বাংলাদেশ বরং রানার্সআপ হওয়া চেষ্টা করে দেখতে পারে। কিন্তু রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে নেপাল, যারা গত ৫ বারের ৪ বারই রানার্সআপ। কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৭ জুন, মালদ্বীপের বিপক্ষে। ১০ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। ১৩ জুন তৃতীয় ম্যাচ ফেবারিট ভারতের বিপক্ষে। কোচ বলছেন, ‘সেমিতে খেলতে হলে প্রথম দুই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই ম্যাচে আমরা আপাতত মনোযোগ দিচ্ছি। সেমিফাইনাল নিয়ে তো আমাদের পরিকল্পনা আছেই, সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করব। আমরা ফাইনালে খেলতে চাই।’ পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টের জন্য ইউরোপভিত্তিক খেলোয়াড় নিয়ে এসেছে। এ প্রসঙ্গে কোচ গোলাম রব্বানী দেশ ছাড়ার আগে বলেছেন, ‘পাকিস্তানকে আমরা দুটি সাফে পেয়েছি, ওদের ইউরোপিয়ান খেলোয়াড় আছে। সেখানে ওদের বিপক্ষে সাবিনাদের খেলার ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। দুই সাফেই ওদের বিপক্ষে আমরা ভালো ব্যবধানে জিতেছি। এখানে আশা করি, সাবিনারা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলবে এবং ভালো করবে।’
অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ২০১৪ সালের সাফে সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে তার ২২ গোলের ১৬টিই সাফে। এবারের সাফে কোচের মতো তিনিও চোখ রাখছেন ফাইনালে, সাফ আমাদের জন্য বড় টুর্নামেন্ট। আমরা আশাবাদী। যেহেতু আমরা বড় একটা টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছি, দেশবাসীর কাছে আমার চাওয়া আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন আমরা ভালো ফল নিয়ে ফিরতে পারি। আমরা ফাইনাল খেলতে চাই।’

দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দলের খেলোয়াড়দের সাবিনা চেনেন। এটা তার জন্য সুবিধা। সেটা মনে করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, অন্য দলের খেলোয়াড়দের ব্যাপারে কোচদের সঙ্গে আমার কথা হয়। আমিও আমার সতীর্থদের বলতে পারব কে কেমন খেলে, অন্যদের শক্তি-দুর্বলতার জায়গা নিয়ে আলোচনা করব। স্ট্রাইকার হিসাবে সবসময় আমার গোলের ক্ষুধা থাকে। আমি চেষ্টা করব আমার জন্য এবং দেশের জন্য সর্বোচ্চটুকু দিয়ে খেলার। ভারতের বিপক্ষে শতভাগের চেয়েও বেশি দিয়ে খেলব আমরা।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়