এশিয়া কাপ : হংকংকে লজ্জায় ডুবিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আগের সংবাদ

বন্ধুত্ব সুসংহত করার প্রত্যয় : বাংলাদেশে চীনা বলয় ঠেকাতে চায় দিল্লি > পানিসহ সীমান্ত সুরক্ষায় সমাধান চায় ঢাকা

পরের সংবাদ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা : চরফ্যাশনে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি : অর্থের বিনিময়ে দাখিল মাদ্রাসায় আয়া পদে নিয়োগ দেয়ার পরও অন্য আরেকজনকেও একই পদে নিয়োগদানের প্রক্রিয়া করায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। আয়া পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ভুক্তভোগী হাছিনা বেগম মামলায় উল্লেখ করেন, উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইউনুছ পত্রিকায় আয়া পদের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে আমাকে ওই পদের জন্য আবেদন করতে বলেন। আমি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির ৫ ওই পদের জন্য আবেদন করি। মাদ্রাসা সুপার মাওলানা ইউনুছ ওই পদে নিয়োগের জন্য ঘুষ বাবদ নগদ ৫ লাখ টাকা দাবি করলে ঋণ করে আমি নগদ ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দিই। পরবর্তীতে চাকরির সব প্রক্রিয়া শেষে সুপার নিয়োগপত্র দিলে ২০২০ সালের ১২ মার্চ আমি আয়া পদে যোগ দিয়ে এখন পর্যন্ত কর্মরত রয়েছি। ভুক্তভোগী আরো বলেন, এছাড়াও আমার নাম এমপিওভুক্ত করার জন্য অনলাইনে কাগজপত্র পাঠাতে শিক্ষক স্টেটমেন্টসহ সব কাগজপত্রের কপি দেন ও রূপালী ব্যাংকের জিন্নাগড় শাখায় আমার একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দেন। মাদ্রাসা সুপার ইউনুছ এমপিওতে ভুক্তভোগীর নাম ও চাকরির নাম না আসতে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে নিষেধ করে এবং তার কাছ থেকে নিয়োগপত্র ও যোগদানপত্র ফেরত নিয়ে নেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী আরো জানান, আমি নিয়োগপত্র পেয়ে যোগদানপত্রের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে এলেও মাদ্রাসার সুপার বেআইনিভাবে গত ৯ আগস্ট অন্য একজনকে চাকরি দেয়ার উদ্দেশে আমাকে নিয়োগ বোর্ডে সাক্ষাৎ করার জন্য চিঠি পাঠালে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী বলেন, ভুক্তভোগী হাছিনা এই মাদ্রাসা জমি দাতা গংদের পরিবারের সদস্য। মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইউনুছসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার বাদীপক্ষের এডভোকেট তরিকুল ইসলাম জানান, আদালত মাদ্রাসার নিয়োগ বোর্ডের অবৈধ নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সুপার ও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতির প্রতি মামলা শুনানি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা উপপরিচালক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে কারণ দর্শানোর জন্য আদেশ দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়