বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

নরসিংদীতে ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষিকা বরখাস্ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, নরসিংদী : নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
একই সঙ্গে তাকে আটক করতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত কমিটি করে আগামী সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
শিবপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া বলেন প্রভা আক্তার নামে ওই ছাত্রী বাজার থেকে ইঁদুর মারার বিষ কিনে সেটি পান করে সরাসরি থানায় এসে তার এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
থানায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাকে সে বলেছে, ম্যাডাম আমাকে আগেও মেরেছে। আজও (বৃহস্পতিবার) মেরেছে। আমার কিছু হলে ম্যাডামই দায়ী।
সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, বিষ খাওয়ার কথা বলতে বলতেই ঢলে পড়ে মেয়েটি এবং সে কারণে দ্রুততার সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করানোসহ দরকারি সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে বাঁচানো যায়নি। প্রভা শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল গ্রামের প্রবাসী ভুট্টো মিয়ার মেয়ে। সে শিবপুর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল।
স্কুল ও থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রভা শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলের নির্ধারিত ড্রেস না পরায় স্কুলের শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানা কনিকা তাকে তিরস্কার ও বেত্রাঘাত করেন। এরপর ক্ষোভে ও অভিমানে স্কুল থেকে বের হয়ে বাজারে গিয়ে ইঁদুর মারার ট্যাবলেট কিনে খেয়ে ফেলে প্রভা। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রভা শিবপুর থানায় যায়। সেখানে গিয়ে থানায় কর্মরত ডিউটি অফিসারের কাছে স্কুল শিক্ষিকা নার্গিস সুলতানা কনিকার নামে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে।
পরে পুলিশ দ্রুত স্কুলের প্রধান শিক্ষককে খবর দেন এবং স্কুল ছাত্রী প্রভাকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্কুল অভিযুক্ত শিক্ষিকা গা ঢাকা দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়