যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি

আগের সংবাদ

সংঘর্ষে চার জেলা রণক্ষেত্র : নারায়ণগঞ্জ মানিকগঞ্জ সিরাজগঞ্জ নেত্রকোনায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত দুই শতাধিক

পরের সংবাদ

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন এলাকায় ২ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে মারুফা বেগমকে হত্যা মামলায় তার স্বামী সুজন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তার গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আজগর স্বপন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মারুফার ভাই রুবেল হাওলাদার বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি সুজন মিয়ার আগের স্ত্রী-সন্তান থাকলেও তা গোপন করে মারুফা বেগমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তাদের সুইটি (৯) ও মাইশা (২) নামে দুটি মেয়ে আছে। বিয়ের পর আসামি নানা সময়ে মারুফার কাছে যৌতুক হিসেবে টাকা চান। প্রথমদিকে কিছু টাকা পয়সা দেয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল রাত ৮টায় আসামি সুজন ফের তার স্ত্রী মারুফার কাছে গাড়ি কেনার জন্য ২ লাখ টাকা যৌতুক চান। কিন্তু মারুফা যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে কিল-ঘুষি, লাথি দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেয় সুজন। এরপর ঘরে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। মারুফার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় সুজন। পরে মারুফাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক ফকরুল আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গ্রেপ্তারের পর আসামি সুজন মিয়া ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তিনি বলেন, মারুফা তার আগের কর্মস্থলের একজনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। তা জানতে পেরে মারুফাকে মারধর করেন তিনি। স্টিলের পাইপের আঘাতে তার মৃত্যু হলে মেয়েকে নিয়ে তিনি পালিয়ে যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়