মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী থেকে : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় একটি মাছধরা ট্রলারডুবির ঘটনায় সাগরে নিখোঁজ দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া একজন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের দক্ষিণে দমার চরের কাছে বঙ্গোপসাগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই জেলে হলেন- হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘপাশান গ্রামের মোস্তান মিয়ার ছেলে মো. মাঈন উদ্দিন (৪৬) ও একই ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের রহমান মাঝির ছেলে মো. শরীফ ওরফে রাফুল (২৫)। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন মো. বেলাল উদ্দিন (২৫)।
হাতিয়ার জাহাজমারা এলাকার ট্রলারমালিক লুৎফুল্যাহিল মজিব সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকদিন আগে এমভি সিরাজ নামের একটি ট্রলার ১৬ জন জেলে নিয়ে বঙ্গোসাগরে মাছ ধরতে যায়।
মাছধরা শেষে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ট্রলারটি জাহাজমারার আমতলী ঘাটে ফেরার পথে দমার চরের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ঝড়ো বাতাসে উল্টে গিয়ে সাগরে ডুবে যায়।
এতে ট্রলারের ১৬ জেলের সবাই সাগরে পড়ে যান। পরে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আরেকটি মাছধরা ট্রলার গিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৩ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর সাগরে দুই জেলে মাঈন উদ্দিন ও শরীফের লাশ ভেসে ওঠে। তবে ট্রলারের অপর জেলে বেলাল উদ্দিন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
লুৎফুল্যাহিল মজিব আরো বলেন, নিহত ব্যক্তিদের লাশ আনতে ট্রলারের মালিক জহির সারেং অন্য একটি ট্রলার নিয়ে দুর্ঘটনা এলাকায় গেছেন।
হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন জানান, সকাল ৯টার দিকে দমার চরের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ঝড়ো বাতাসের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
বিষয়টি নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে অবহিত করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্নœ এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সমুদ্র এখন উত্তাল রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।