জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল

আগের সংবাদ

জ্বালানি তেলের প্রভাব বাজারে : পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের > বাড়তি ব্যয়ের চাপে চিড়েচ্যাপ্টা মানুষ

পরের সংবাদ

জাতীয় জাদুঘরের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী : ‘বাঙালির ইতিহাস জানতে জাদুঘরের বিকল্প নেই’

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস জানতে জাদুঘরের কোনো বিকল্প নেই। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে এ মন্তব্য করেছেন বক্তারা। জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ঢাকা থেকে জাতীয় জাদুঘর : রূপান্তরের ইতিবৃত্ত’ শীর্ষক সেমিনার এবং নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে জাদুঘরে সংরক্ষিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি নিদর্শন, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের দুর্লভ আলোকচিত্র ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত গ্রন্থের বিশেষ প্রদর্শনী ‘বঙ্গবন্ধু : মুক্তির অগ্রনায়ক’-এর উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোকাম্মেল এইচ ভূঁইয়া। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সদস্য উজ্জ্বল দত্ত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম খালিদ এমপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, আগস্ট মাস আমাদের অনেক দিয়েছে কিন্তু বাঙালি হারিয়েছে সর্বস্ব। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু এই জাদুঘরের জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলেন এবং জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জাদুঘরকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের

মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, জাতীয় জাদুঘর এদেশের ঐতিহাসিক, প্রতœতাত্ত্বিক, নৃ-তাত্ত্বিক, শিল্পকলা ও প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কিত নিদর্শনাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও গবেষণার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯১৩ সালে ঢাকা জাদুঘর নামে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। আজকে আমরা উদযাপন করেছি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. মোকাম্মেল এইচ ভূঁইয়া, ঢাকা জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং পরবর্তীতে ঢাকা জাদুঘর কিভাবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তর হলো সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জাদুঘর হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। বর্তমানে বাংলাদেশে একশর বেশি জাদুঘর আছে। মূলত, জাদুঘর হচ্ছে উন্মুক্ত শিক্ষাকেন্দ্র। সবাইকে জাদুঘর পরিদর্শন করার আহ্বান জানান তিনি। উজ্জ্বল দত্ত জাদুঘরকে সভ্যতার স্মারক বলে মন্তব্য করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. আবুল মনসুর জাদুঘর হচ্ছে একটি দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে জানার জন্য জাদুঘের কোনো বিকল্প নেই। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আজ ১০৯ বছর পূর্ণ করল। এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রয়েছে অসামান্য অবদান। সেমিনার ও বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগীত পরিবেশন করেন লোকসংগীত শিল্পী আবু বকর সিদ্দিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ নাসরিন ইলা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়