জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল

আগের সংবাদ

জ্বালানি তেলের প্রভাব বাজারে : পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের > বাড়তি ব্যয়ের চাপে চিড়েচ্যাপ্টা মানুষ

পরের সংবাদ

আহত ২২ : শাহবাগে বাম ছাত্র সমাবেশে পুলিশি হামলা

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, গায়ে পড়ে প্রথমে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের কর্মীরাই পুলিশের ওপর হামলা করে। দুপক্ষের সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ২২ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অন্যদিকে পুলিশি হামলার অভিযোগ এনে আজ সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্যমতে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর কর্মীদের। তখনই রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে লাঠিচার্জ করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ ও কর্মীদের মারধর করা হয়। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মিছিল থেকেও পাল্টা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমনা থানার এসি বায়োজিদ এবং শাহবাগ থানার এসআই রাশেদ এ সময় আহত হন।
অন্যদিকে পুলিশের হামলায় আহত হন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী, কর্মী মশিউর রহমান, মিশাল ত্রিপুরা, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সংগঠক জাবির আহমেদ জুবেল, সামি আব্দুল্লাহ, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা নগরের সংগঠক শাহাদাত হোসেন, ঢাকা নগরের কর্মী জাওয়াদ হোসেন, শান্তাসহ প্রায় ২০ জন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। তখন পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু করে আমাদের ওপর হামলে পড়ে।
তিনি আরো জানান, আমাদের নারী নেতাকর্মীদের পুলিশ হেনস্তা করে; নারী পুলিশ সদস্য থাকলেও পুরুষ পুলিশ সদস্যরাই আমাদের নারী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ন্যক্কারজনকভাবে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, হামলার অভিযোগ অসত্য। পুলিশ তাদের (বাম সংগঠন) ওপর কোনো হামলা করেনি, তারাই বরং পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশের কেউ আহত হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে কিছু না বলেই ফোন কেটে দেন হারুন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়