ঢাকাস্থ বড়াইগ্রাম সমিতি সভাপতি আব্দুল গণি সম্পাদক নান্নু

আগের সংবাদ

ইসির সংলাপ থেকে অর্জন কী

পরের সংবাদ

ব্লæমবার্গের প্রতিবেদন : রিজার্ভ বাড়াতে আইএমএফ থেকে ঋণ চাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে ডলারের রিজার্ভ কমে গেছে। এ অবস্থায় অর্থসংস্থান শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-সহ আরো কিছু ঋণদাতার কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্লæমবার্গ। শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি সংকটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও বেড়ে গেছে লোডশেডিং। তাই কৌশলে অর্থসংস্থান শক্তিশালী করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)সহ আরো কিছু ঋণদাতার কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দেশটির অর্থনীতির আকার বর্তমানে ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাদের শক্তিশালী গার্মেন্টস খাত এইচএন্ডএম এবং গ্যাপের মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোকে পোশাক সরবরাহ করে। ঋণের এমন পদক্ষেপকে ‘সতর্কতামূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ঢাকার কর্মকর্তারা। এটি প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের চাওয়া বেইলআউট তহবিলের মতো নয়।
এ প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী ভোরের কাগজকে বলেন, যে কোনো দেশ যদি অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ে বা অনুমান করে সমস্যা হতে পারে, সেক্ষেত্রে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিতে পারে। সাধারণত, আইএমএফ যখন ঋণ দেয় তখন অর্থনীতির সংস্কারের কিছু শর্তাবলিও জুড়ে দেয়। অনেক সময় তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের অর্থনীতির সমস্যার সঙ্গে যে বাস্তবসম্মত হবে তা নয়। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, আইএমএফের একটি ঋণ প্যাকেজের অনুমোদন বাংলাদেশের বাজারকে স্থিতিশীল করবে। এতে কিছু তহবিল পাওয়া যাবে যা রিজার্ভ বাড়াবে। এটিই সেরা কৌশল। এর আগে গত বুধবার দেশটির অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো অর্থনৈতিক সংকটে নেই। ভবিষ্যতের যে কোনো প্রয়োজনের জন্য এই তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছেও যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বুধবার বলেন, আমাদের এখানে সম্প্রতি আইএমএফ একটি মিশনে এসেছে, আমাদের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে। এটা রুটিন, প্রতি বছরই হয়। আমরা কী কী ফ্যাসিলিটি নিতে পারি, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লæমবার্গের অন্য এক প্রতিবেদনে বিশ্বের শীর্ষ ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ বাড়ছে তবু খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি কম। মুডিস এর একজন সার্বভৌম বিশ্লেষক ক্যামিল চৌটার্ড বলেন, ‘যদিও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উচ্চস্তর থেকে সম্প্রতি কমে গেছে, তারপরও দেশটির বাহ্যিক দুর্বলতার সূচকে ঝুঁকি অনেকটাই কম। ব্লæমবার্গের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর কাছ থেকে ঋণ চাইছে বাংলাদেশ। সামষ্টিক অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমাতে এবং আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের আর্থিক সুরক্ষা তৈরির জন্য এই ঋণ চাওয়া হচ্ছে। এতে আরো বলা হয়, বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং ডলার ঘাটতির মধ্যে মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের জুলাই মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে তা ছিল ৪৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়