গরমে পুড়ছে নগর, কখন নামবে বৃষ্টি

আগের সংবাদ

ইস্যু যাই হোক টার্গেট সংখ্যালঘু

পরের সংবাদ

অনলাইনে অসাবধান হলেই বিপদ

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অনলাইনে বা ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় প্রতারকরাও পুরোদমে সক্রিয় হয়েছে মাধ্যমটিতে। একটু ভুলের কারণেই অনলাইনে প্রতারণা, স্পুফিং, হ্যাকিংসহ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ ব্যবহারকারীরা। একটু সতর্ক হলেই এড়ানো যায় এসব ফাঁদ-
নজরে রাখছে কেউ না কেউ: ধরুন, আপনি একটি পণ্যের নাম লিখে বা এ সম্পর্কে রিভিউ জানতে গুগলে সার্চ দিয়েছেন। এরপর খেয়াল করে দেখলেন, অনলাইন ব্রাউজের সময় বিভিন্ন সাইট ঘাঁটতে গেলেই গুগলের অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনে ওই পণ্য বা কাছাকাছি পণ্য দেখাচ্ছে। অনেক সময় এমনটা হয়। কিন্তু এটা কিভাবে? ব্যাপারটা ভেবেছেন? স্মার্টফোন ও কম্পিউটার নির্ভর অপারেটিং সিস্টেম (ওএস), ফেসবুক, গুগলসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাপ নির্মাতা তাদের অনেকেই ব্যবহারকারীদের ব্রাউজিং ও অন্যান্য তথ্য নেয়। এসবের মাধ্যমে তারা একজন ব্যবহারকারীর পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে একটা ধারণা পায়। ব্যবহারকারীদের অবগত করে বা আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই তারা এসব তথ্য নেয়। মানোন্নয়নসহ গবেষণাকাজে এসব তথ্য নেয়া তাদের রুটিন কাজ। এসব প্রতিষ্ঠান তথ্য নিলে হয়তো খুব বেশি কিছু হবে না (যদিও ফেসবুকসহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ আছে)। কিন্তু এত সব বলার কারণ হচ্ছে, একইভাবে যদি কোনো অনাকাক্সিক্ষত সফটওয়্যার বা অ্যাপ আপনার ডিভাইসে জায়গা করে নেয়, তারা কি সেই রকম আচরণ করবে যেমনটি বড় বড় নামজাদা প্ল্যাটফর্ম করছে? নিশ্চয়ই না। এ ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামগুলোই ‘ম্যালওয়্যার’ নামে পরিচিত।

অদৃশ্য শত্রæদের চিনে রাখুন: ম্যালওয়্যার হচ্ছে এমন এক ধরনের ভয়ংকর প্রোগ্রাম, যা টার্গেট করা ব্যক্তির আর্থিকসহ বিভিন্ন ক্ষতির কারণ হতে পারে। সাধারণত চটকদার ফ্রি অ্যাপ বা সফটওয়্যারের মাধ্যমে এগুলো ডিভাইসে প্রবেশ করে। তাই অনলাইনে বা অ্যাপস্টোরে তুলনামূলক কম পরিচিত ফ্রি কিছু পেলেই না বুঝে ইনস্টল করা যাবে না! এ ধরনের প্রগ্রাম স্মার্টফোনের টেক্সট মেসেজ, কন্টাক্ট, ক্যামেরা, স্টোরেজ ও আরো অনেক কিছুতেই অ্যাক্সেস বা প্রবেশাধিকার পায়। ক্যামেরা অপশন ট্যাপ করলেই সাধারণত ক্যামেরা চালু হয়। কিন্তু ম্যালওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার ক্যামেরা চালু করার ক্ষমতা রাখে; এমনকি ডিভাইসে সংরক্ষিত থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ডের তথ্য ব্যবহার করে অর্থ লুটে নিতে পারে। এই ম্যালওয়্যার ঘরানার প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে ভাইরাস ছাড়াও আছে স্পাইওয়্যার, কিলগার ইত্যাদি। স্পাইওয়্যার ডিভাইসের বিভিন্ন তথ্য গোপনে পাচার করে, আর কিলগার ব্যবহারকারীর টাইপ করা তথ্যের ওপর নজরদারি করে। হ্যাকিংয়ের কাজেও এই টুলটি (সফটওয়্যার বা অ্যাপ) ব্যবহার হয়। এ অবস্থায় স্মার্টফোন ম্যালওয়্যার মুক্ত রাখতে যেনতেন অ্যাপ ইনস্টল বা ডাউনলোডের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সেটিংসের ‘অ্যাপ অ্যান্ড নোটিফিকেশন’ থেকে ‘পারমিশন ম্যানেজার’-এ গিয়ে দেখুন প্রয়োজন নেই অথচ স্টোরেজ, ক্যামেরা, কনট্যাক্ট, এসএমএস, লোকেশন, মাইক্রোফোন ইত্যাদির অ্যাক্সেস কোনো অ্যাপ নিয়েছে কি না। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে থাকা বিল্টইন ‘উইন্ডোজ সিকিউরিটি’ অ্যান্টি-ভাইরাসই অনেক ক্ষেত্রে যথেষ্ট। উইন্ডোজের টাস্কবার বা ডেস্কটপের ডান দিকে কোনায় ‘ঢাল’ চিহ্নের আইকনটিতে ক্লিক দিয়ে মাঝেমধ্যে দেখুন কোনো থ্রেট বা ভাইরাস সংক্রান্ত নোটিফিকেশন আছে কি না। সব ঠিক থাকলে অপশনগুলো সবুজ দেখাবে।

আপনার আইডি কার দখলে: কোনো এক অপরিচিত আইডি থেকে মেসেজ এলো। হতে পারে সেটা ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ বা ই-মেইলে। বার্তায় এমন কিছু বলল, আপনার মনে কৌতুহল সৃষ্টি হলো। আগন্তুক একটি লিংকও পাঠাল। লিংকের শিরোনাম বা ছবি দেখেই সঙ্গে সঙ্গে কি ভেবে ক্লিক বা ট্যাপ করে দিলেন। এরপরই ব্রাউজার চালু হয়ে গেল। কিন্তু সেখানে ফেসবুকের আদলে একটি সাইট দেখাচ্ছে, বলা হচ্ছে লগইন করতে। স্বভাবতই মনে করলেন, যে লিংকটি দিয়েছে, সেটিতো ফেসবুকেরই। লিংকটি দেখতে হলে লগইন করতে হবে, হয়তো এ কারণেই লগইন করতে বলা হচ্ছে! অথচ আপনার ব্রাউজারে আগে থেকেই লগইন ছিল বা নেই, তা নিয়ে আর মাথা ঘামাননি। যাই হোক, যখনই লিংকের পেজটিকে ফেসবুক পেজ ভেবে আইডি-পাসওয়ার্ড লগইন করলেন, তখনই ঘটল বিপত্তি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়