হৃদরোগে এসপি দেওয়ান লালন আহমেদের মৃত্যু

আগের সংবাদ

ইসির সংলাপ শুরু আজ, যাচ্ছে না বিএনপি

পরের সংবাদ

বিরোধীরা চান টি এন সেশন ক্ষমতাসীনরা দলনফর

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিরোধীরা যখন ক্ষমতায় থাকেন তারা চান ভৃত্যের আনুগত্যসম্পন্ন একজন সিইসি, যখন তারা বিরোধী তারা প্রত্যাশা করেন এ পদে আসীন হবেন অন্তত একজন টি এন সেশন।
ক্ষমতায় যারাই অধিষ্ঠিত থাকুন তারা চাইবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার যেন শপথভোলা মানুষ হন; দলের অত্যন্ত অনুগত, ডানে বললে ডানে, বায়ে বললে বায়ে চলা, যে কোনো হুকুম মেনে চলা ব্যক্তি হন এবং তার আমলের নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং হাজার বছরের সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন দাবি করেন। যেহেতু টি এন সেশনের কথা প্রায় সব নির্বাচনের সময়ই কমবেশি আলোচিত হয়, কেমন ছিলেন টি এন সেশন, তা জানতেই এই নিবন্ধটি রচিত হয়েছে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে আমরা যথেষ্ট পরিচিত, এতে সহনশীলতার চর্চা তেমন নেই। কোনো ব্যক্তি বা দল, কিংবা কোনো প্রধান বা উপ-প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই নিবন্ধের লক্ষ্য নন, নির্বাচনের সময় আলোচনায় আসা টি এন সেশনকে জানাই মুখ্য।
তার পুরো নাম, তিরুনেল্লাই নারায়ণ আইয়ার সেশন। দক্ষিণ ভারতীয় প্রথায় প্রথমে গ্রামের নাম লেখা হয়, তিরুনেল্লাই সেই প্রত্যন্ত গ্রাম যেখানে তার জন্ম আর নারায়ণ আইয়ার বাবার নাম। আর তার নাম সেশন। তার জন্ম ১৫ ডিসেম্বর ১৯৩২ মাদ্রাজের কালঘাট, বাবা জেলা আদালতের আইনজীবী ছিলেন; ছয় সন্তানের তিনি কনিষ্ঠজন। সেশন ১০ নভেম্বর ২০১৯ সালে তার চেন্নাইয়ের বাড়িতে প্রয়াত হন।
ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহী, ক্লাস ওয়ান থেকে মাস্টার ডিগ্রি কোনো পরীক্ষায় ‘আমি দ্বিতীয় হইনি’। পরীক্ষায় প্রথম স্থান ধরে রাখার ব্যস্ততার কারণে ‘কখনো প্রেমে পড়া হয়নি’- এটা তার সরল স্বীকারোক্তি। জয়াল²ীর সঙ্গে বিবাহিত জীবন ১৯৫৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত। জয়াল²ী স্বামী সম্পর্কে বলেছেন, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সেশন এতটাই সমঝোতা-বিরোধী যে প্রয়োজনে স্ত্রীকে ছেড়ে দিতেও তিনি প্রস্তুত থাকতেন।
তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের কৃতী ছাত্র, মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে এখানেই প্রায় তিন বছর পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক ছিলেন। ১৯৫৩ সালে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হলেও যোগদান করেননি। ১৯৫৪ সালের আইএএস পরীক্ষায় প্রথম হয়ে উত্তীর্ণ হন এবং ১৯৫৫ সালে তামিলনাড়ুতে যোগ দেন। ১৯৬২ থেকে ৩ বছর মাদ্রাজের পরিবহন পরিচালকের দায়িত্ব পালনের পর মাদুরাই জেলায় কালেক্টর পদে যোগ দেন। ১৯৭৬-এ তামিলনাড়ুর শিল্প ও কৃষি সচিবের দায়িত্ব পালনকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতানৈক্য ঘটে যাওয়ায় তিনি দিল্লি ফিরে আসেন এবং ভারতের মহাকাশ ও বন মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাগিরথীর ওপর তেহরি বাঁধ এবং নর্মদা নদীর ওপর সর্দার সারোভার বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবে বাধা দেন, কিন্তু তা নাকচ হয়ে যায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে কিছুকাল দায়িত্ব পালন করার পর তাকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব করা হয়। কিন্তু পদটি তিনি ধরে রাখতে পারেননি, মতবিরোধ তাকে নামিয়েও দেয়, তিনি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হন।
সমস্যা চাকরিজীবনের শুরু থেকেই, আত্মজীবনী থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি : ‘কিন্তু চাকরিতে গিয়েই আমার সঙ্গে এক মন্ত্রীর গোলমাল বাধে। তখন ১৯৫৬ সাল, কোয়েম্বাটুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টর হয়েছি। তখন আমার বয়স ২২/২৩ বছর। একদিন তহশিলদার এসে আমাকে বললেন, ‘স্যার, এক মহিলা সরকারি ঋণ নিয়ে তা শোধ দিচ্ছে না।’ আমি ওই ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলাম। ঘটনাচক্রে ওই মহিলা জেলা শাসক দলের সভাপতির স্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তখন কুমারস্বামী কামরাজ (১৯০৩-১৯৭৫)। এরপর রাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রী জেলা সফরে এলেন। সাব কালেক্টর হিসেবে আমি মন্ত্রীর সঙ্গী। মন্ত্রী আমাকে আমার ভাঙাচোরা জিপ থেকে তুলে নিজের গাড়িতে তুললেন। সন্দেহ হলো, এত খাতির কেন? গাড়ি চলছে। মন্ত্রী এটা সেটা নানা ধরনের কথা বলছেন। তারপর কিছুক্ষণ বাদে সেই ঋণ শোধের প্রসঙ্গ তুললেন। আমি তাকে বললাম, ‘মৌখিক নয়, মন্ত্রীর লিখিত নির্দেশ পেলেই তবে আমি মামলা তুলে নেব।’ ব্যস। আগুনে যেন ঘি পড়ল। মন্ত্রী আমাকে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন। আমার মুখে একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে গাড়ি চলে গেল। মাঠের ঠিক মাঝখানে গাছের নিচে পৌনে দুঘণ্টা অপেক্ষা করার পর আমার ছ্যাকড়া জিপ এসে পৌঁছল।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হয়ে তিনি বললেন, ‘রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমার নেই সত্যি, কিন্তু ভারতে যেভাবে নির্বাচন পরিচালিত হয়, সেটা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমার আছে।’
দলদাসবৃত্তির অভিযোগে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনার/নির্বাচন কমিশনারদের কেউ কেউ ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন, ভবিষ্যতেও এই নিক্ষেপণের ধারা অব্যাহত থাকারই কথা। নিক্ষিপ্ত হওয়ার ধনুর্ভঙ্গ পণ নিয়ে যারা যোগ দেন, তাদের কারোরই ভারতের একদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশন প্রসঙ্গ এলে স্বস্তি বোধ করার কথা নয়। যে আমলাতন্ত্র অনেক ক্ষেত্রেই ‘পার্ট অব দ্য সলিউশন’ না হয়ে ‘পার্ট অব দ্য প্রবলেম’-এ পরিণত হয়, জনগণের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে; যে আমলাদের কষে গাল দিয়ে রাজনীতিবিদ দুটি বাড়তি পয়েন্ট অর্জন করেন, টি এন সেশন কিন্তু সেখান থেকেই উঠে এসেছেন; ‘পার্ট অব দ্য প্রবলেম’ থেকে ‘পার্ট অব দ্য সলিউশন’ হয়েছেন।
ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের ১৯৫৫ ব্যাচের এই কর্মকর্তা পদোন্নতির অনেক সোপান পেরিয়ে ১৯৮৯ সালে ভারতের মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিযুক্ত হন। তারপর ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ছয় বছর তিনি ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, এ সময় নির্বাচন সংস্কারক হিসেবে তার সুখ্যাতি প্রবাদপ্রতিম হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে তার কিছু কিছু কথা মুখে মুখে ঘুরতে থাকে। বলিউড সিনেমার সুপারহিট হিন্দি গানটি বাংলাদেশে আমরাও শুনেছি : পা নি সা নি সা মা পা/তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত…। গানটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের শ্রবণকে এড়িয়ে যেতে পারেনি, তিনি মনে মনে সুরটি ভেজেছেনও। কিন্তু যখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের শঠতার প্রশ্নটি এলো, তিনি সেই সুরেই বলে দিলেন, ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় ভ্রষ্ট ভ্রষ্ট’। এই ভ্রষ্ট মানে স্খলিত, অসৎ, দুশ্চরিত্র। টি এন সেশনেরই সাহসী উক্তি : আপনারা কি মনে করেন গণতন্ত্রের ওপর ডাকাতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি আমি রাজনীতিবিদদের দিতে পারি? এই ডাকাতি মূলত ভোট ডাকাতি, যা রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি অবিভাজ্য অংশ হয়ে উঠেছিল নব্বইয়ের দশকে। সেই সংস্কৃতির অনেকটাই এককভাবে পাল্টে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশন।
সেশনের এই অবিরাম লেগে থাকা ভারতীয় নির্বাচন ব্যবস্থার জমে থাকা অনেক আবর্জনা দূর করেছে এবং কমিশনকে ক্ষমতাসীন দলের প্রয়োজনে আজ্ঞাবহের মতো কাজ করার এক ধরনের বাধ্যবাধকতার সংস্কৃতি থেকে একক প্রচেষ্টায় বদলে দেন। তাকে যারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে বসিয়েছেন, তারাও তাকে নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন এবং তার ডানা কেটে দেয়ার জন্য দলদাস যুগ্ম নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় সরকার। টি এন সেশন রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে সরকারের উদ্যোগকে আদালতে দাঁড় করান, সুপ্রিম কোর্ট যুগ্ম নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের উদ্যোগ নাকচ করে দেয়। যে সময় ভারতের সুপ্রিম কোর্টকে সরকারের নিতান্ত অনুগতই মনে করা হতো সেশনের মতো এমন একজন লড়াকু মানুষের মর্যাদা রক্ষায় আদালতও নিজেকে বিতর্কিত করেনি। তিনি কী চান? প্রধানমন্ত্রী ভি পি নরসীমা রাওয়ের এ প্রশ্নের জবাবে টি এন সেশন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার গকার পর প্রধানমন্ত্রী আর প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়া আমি আর কী চাইতে পারি। কিন্তু এ দুটো পদও তো আপনাদের দখলে।
তিনি বলেছিলেন, আমাকে ১০ বছর সময় দিন, আবার ভারতকে আমি মহান ভারতই বানাব, কিন্তু আমাকে গ্রহণ করার সাহস কি আপনাদের আছে?
সেশন আমলা প্রশিক্ষণ একাডেমিতে পড়াতে গিয়ে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর কথা মনে করিয়ে দিলেন, শাস্ত্রী অ্যাকাডেমিতে নতুন যোগ দেয়া ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের সদস্যদের বলেছিলেন, এখন থেকেই তোমাদের জানতে হবে- কোনো কোনো পানওয়ালাও তোমাদের চেয়ে বেশি কামাই করবে! অর্থাৎ নিজের আর্থিক অবস্থার একটি ভবিষ্যৎ চিত্র মাথায় রেখে যদি দেশসেবা করতে চাও, তো ভালো, নতুবা এখনই ছেড়ে দাও। পড়াকার জন্য একাডেমিতে সেশনকে আর আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি যখন ছবিযুক্ত ভোটার আইডি কার্ডের ওপর জোর দিলেন, রাজনীতিবিদরা তার সমর্থনে এলেন না, বিরোধিতা করলেন। টি এন সেশনও জানিয়ে দিলেন, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার বিদায়ের পর। তিনি একের পর এক নির্বাচন পেছাতে শুরু করলেন, এক পর্যায়ে সরকার নমনীয় হয়ে ভোটার কার্ডের দাবি মেনে নিল। অর্থৎ টি এন সেশন স্পষ্ট করে দিলেন সরকারের হুকুম কিংবা ইঙ্গিত বুঝে যিনি নির্বাচনের তারিখ ঠিক করবেন, তিনি অন্তত সিইসি হওয়ার যোগ্য নন।
জনসেবার স্বীকৃতি তাকে এনে দিয়েছে র‌্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, আমার অ্যাকাউন্টে একটিও ‘ভুল রুপি’ পাবেন না। তিনি নিজেই বলেছেন, কেবিনেট সেক্রেটারি থেকে সরিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য করার পর জনতা দলের নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী তাকে নির্বাচন কমিশনে বসাতে উদ্যোগ নিয়েছেন। চেয়ারে বসেই তিনি ইলেকশন ম্যালপ্র্যাকটিস এবং নির্বাচন অবৈধভাবে প্রভাবিত করা নেতাদের বিরুদ্ধে কৌশলগত জিহাদ ঘোষণা করলেন। ১৯৯৩ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি গায়ে হাওয়া লাগানো পরিদর্শক ও পর্যবেক্ষক সিইসিদের মতো ঘুরে বেড়াননি, মাইক্রোফোন পেলেই নিজের গৌরব ও সাফল্যের কখা শোনাকে শুরু করেননি। তিনি সার্বক্ষণিক কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। সেশন ছিলেন বলেই মিথ্যা বিবৃতিদাতা ১৪,০০০ প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা সম্ভব হয়েছে। ১৯৯২ সালে তিনি যখন পাঞ্জাব ও বিহারের নির্বাচন বাতিল করলেন, তাকে সিইসির পদ থেকে ‘ইমপিচ’ করার জন্য উঠে-পড়ে লাগলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, রাজনীতিবিদদের প্রণয়ন করা আইনে কমা, সেমিকোলন বা দাঁড়ি কিছুই তিনি যোগ করেননি। তিনি কেবল তাদের যতেœগড়া আইনটাই বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন, একটা উদাহরণ দেখিয়ে দিন যেখানে আমি সংবিধান ও নির্বাচন আইন লঙ্ঘন করেছি।
কেউ সে সাহস করেননি।
এ প্রত্যাশা দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, জয়েন্ট নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন সবাই সেশনের মতো আইনটাই বাস্তবায়ন করবেন, দলদাসে পরিণত হবেন না, দলদাসত্বই গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।
টি এন সেশন লিখেছেন, ‘চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত মানুষ রাজনীতিতে আসতেন দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে : সেবা করতে এবং আত্মত্যাগ করতে। পেশাগত জীবনে উজ্জ্বল ব্যারিস্টার জওহরলাল নেহরু তার পেশা বলি দিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন, একালে কে কি বিসর্জন দিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন?…খারাপ টাকা যেমন ভালো টাকাকে হটিয়ে দেয়, তেমনি খারাপ রাজনীতিবিদও ভালো রাজনীতিবিদকে হটিয়ে দেন।’ সেশন বারবার রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কথা বলেছেন ও ‘ক্রিমিনাইলাইজেশন অব পলিটিক্স’কে দেখছেন স্বার্থান্ধ রাজনীতিবিদদের কৌশল হিসেবে।
সেশনের জীবনের একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ সাফল্য এনে দেয়নি; ১৯৯৭-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি কে আর নারায়ণনের কাছে হেরে গেছেন।
(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)

ড. এম এ মোমেন : সাবেক সরকারি চাকুরে, নন-ফিকশন ও কলাম লেখক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়