শিনজো আবের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা

আগের সংবাদ

ভোট ঘিরে তৎপর কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

পানির নিচে হাজার হাজার একর ফসলি জমি : কলাপাড়ায় বাঁধ ভেঙে ২২ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কলাপাড়ায় সামুদ্রিক জলোচ্ছ¡াস নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে উপজেলার লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর ও মহিপুর এই চার ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি পানির নিচে। জোয়ারের পানিতে হাজার হাজার একর ফসলি জমি এখন পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এলাকার নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার সামুদ্রিক জলোচ্ছ¡াস নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বাইরের ছিন্নমূল মানুষ।
বুধবার বিকাল থেকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের কলেজ বাজার, পাঁচজুনিয়া এবং চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা পানিতে ডুবে যায়। এছাড়া একই অবস্থা হয়েছে লালুয়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম এবং মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ফসিল জমি এবং ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনার ডুবে গেছে। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গত পূর্ণিমার জোঁ-এর চাপে চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর বাঁধ ভেঙে গেলে সেই থেকে নানা সমস্যায় পড়ে স্থানীয় জনগণ। এছাড়া লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া, বুড়োজালিয়া, মুন্সিপাড়া, মঞ্জুপাড়া, নাওয়াপাড়া, চাড়িপাড়া, বানাতিপাড়া, পশুরবুনিয়া, হাসনাপাড়া, ছোট ৫নংসহ অন্তত ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। লালুয়া ইউনিয়নের প্রায় ৬ কিলোমিটার অরক্ষিত সামুদ্রিক জলোচ্ছ¡াস নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় সেখানকার মানুষের মধ্যে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আমবস্যা ও পূর্ণিমার জোঁতে বাড়ি-ঘরসহ ফসলি জমি তলিয়ে যায় দুবার। ধানখালী ইউনিয়ন কলেজ বাজার এলাকার বাসিন্দা জয়নাল মৃধা জানান, গত পূর্ণিমার জোঁতে দেবপুর বাঁধ ভেঙে গেলে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে আমাদের বাড়িঘরসহ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার জানান, দেবপুর বাঁধ চম্পাপুর ইউপির অন্তর্ভুক্ত। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজী বলেন, লালুয়া ইউনিয়নে ২৭টি গ্রাম। এর মধ্যে ১৭টি গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি। সরকারের কাছে ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামত করে দেয়ার জোর দাবি জানাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়