বরিস জনসন : বিয়ের পার্টির পরিকল্পনা বদল

আগের সংবাদ

রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাবের শঙ্কা : ইউরোপে মন্দার প্রভাব পড়বে রপ্তানি আয়ে, বিদেশি ক্রেতা ধরে রাখার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের

পরের সংবাদ

৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা : গোপন পথে এখনো সক্রিয় জেলে ও মৎস্যজীবীরা

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) থেকে : সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ রক্ষায় বঙ্গোপসাগরে দেয়া ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে এমন অব্যবস্থাপনা এর আগে দেখা যায়নি। মৎস্য শিকারে গোপন পথে এখনো সক্রিয় জেলে ও মৎস্যজীবীরা।
ইলিশের জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সফল হওয়ায় এই পথেই এগুচ্ছিল সরকার। গত ২০ মে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে। শেষ হবে চলতি মাসের ২৩ তারিখে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য আইন সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১৯ ধারায় প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ফিশিং ভ্যাসেলে মাছ শিকার বন্ধের আইন করা হয়।
এ আইনের আওতায় গত তিন বছর ধরে উপকূলের ইঞ্জিনচালিত কাঠের ট্রলারগুলোকেও আনা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য-২ (আইন) অধিশাখা এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনটিতে ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তবে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করছে অসাধু জেলেরা। তাদের দাবি, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সোর্সদের কাছে টাকা দিয়ে তাদের ম্যানেজ করেই তারা গভীর সমুদ্রে যাচ্ছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করছে নৌপুলিশ। কোস্ট গার্ড বলছে, এমন কোনো প্রমাণ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৎস্য ট্রলার মালিক আবুল হোসেন ফরাজি সাংবাদিকদের জানান, গভীর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় দেশীয় ট্রলারের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভারতীয় ট্রলার মাছ শিকার করছে। আমরা আমাদের সীমানায় জাল ফেলে মাছের জন্য অপেক্ষা করলে ভারতীয়রা আমাদের জেলেদের তাড়িয়ে দেয়। তারা বলে তোদের দেশে অবরোধ, তোমরা মাছ শিকার কর কেন’ তিনি বলেন, আমাদের জলসীমায় আমাদেরকেই মাছ ধরতে দেয় না ভারতীয় জেলেরা। এমন অবরোধ দিয়ে আমাদের লাভটা কী এমন প্রশ্ন তুলেছেন পাথরঘাটার জেলে ও ট্রলার মালিকরা। তবে গভীর বঙ্গোপসাগরে কোস্ট গার্ডের নিয়মিত পেট্রল টহল চলছে বলে সাংবাদিকদের জানান কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কে এম শফিউল কিঞ্জল। তিনি জানান, যদি কোস্ট গার্ডের কাউকে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে মাছ শিকারে যায় প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। চরদুয়ানী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইশান বলেন, নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযানে আটক হয়ে জেলেরা নিজেদের বাঁচাতে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য দপ্তরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার দায়ে আমরা থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় রাতে অভিযান চালাই। গত তিন দিনে আটক ৭টি ট্রলারের মাছ অকশনে বিক্রি করে তাদেরকে সমপরিমাণ অর্থদণ্ড করি। এতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা সরকারি ফান্ডে জমা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়