বরিস জনসন : বিয়ের পার্টির পরিকল্পনা বদল

আগের সংবাদ

রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাবের শঙ্কা : ইউরোপে মন্দার প্রভাব পড়বে রপ্তানি আয়ে, বিদেশি ক্রেতা ধরে রাখার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের

পরের সংবাদ

রোয়াংছড়ি-বান্দরবান সড়ক : ১২ বেইলি সেতুর চারটিই ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ

রোয়াংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি : রোয়াংছড়ি থেকে বান্দরবান যাওয়ার প্রধান সড়কে ১২টি বেইলি সেতুর মধ্যে ৪টি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ। এসব সেতু যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।
রোয়াংছড়ি থেকে জেলা শহর বান্দরবানে যাওয়া-আসার একটি মাত্র সড়ক। প্রতিনিয়ত ভারি ও মাঝারি যানবাহন, ছোট বড় মোটরযান চলাচলে এটি ব্যস্ততম সড়ক হয়ে উঠেছে। এই সড়কে ছোট ও বড় মিলে প্রায় ১২টি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি বেইলি সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলে ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ চারটি সেতু হচ্ছে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্টে তারাছা খালের ওপর পুরনো বেইলি সেতু, ১১ কিলোমিটার পুনর্বাসন পাড়া এলাকার বেইলি সেতু, ক্রাইক্ষ্যং পাড়া ও বিজিপি সেক্টর সদর দপ্তর এলাকার কালভার্ট সেতু এবং ৪ কিলোমিটার এলাকার স্বাগতম সেতু। এ ৪টি সেতুতে নিচে বেইজের অংশে মাটি দেবে ও মাটি সরে যাওয়ায় যে কোনো সময়ে ভারি যানবাহন চলাচল করলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ি ঢলে সেতুটিতে বেইজের নিচের অংশে পিলারের নিচে মাটি দেবে পাহাড়ি ঢলে মাটিগুলো সরে গিয়ে পুরনো গাইড ওয়ালগুলো ভেঙে পড়েছে। সেতুর নিচে মাটি রক্ষায় নির্মিত অধিকাংশই গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ে যাওয়ায় ভারি ও মাঝারি যান চলাচলে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে।
উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. আলমঙ্গীর বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ট্রাক ও মিনি ট্রাক ভরে মৌসুম অনুযায়ী কাঁচামাল নিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু বর্তমানে বান্দরবান ও রোয়াংছড়ি সড়কে অধিকাংশই বেইলি সেতুর নিচে মাটি সরে ভেঙে যাওয়ায় দৈনন্দিন যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কখন দুর্ঘটনা ঘটবে বলা যায় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে নতুন সেতু নির্মাণ করতে পারলে দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাব।
মালামাল বহনকারী ড্রাইভার মো. আমির বলেন, সেতুর ভেঙে যাওয়া অবস্থা দেখে আতঙ্কে গাড়ি চালাচ্ছি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চাইসিং মারমা বলেন, আমার ওয়ার্ডের কয়েকটি বেইলি সেতু পুরনো হয়ে যাওয়ায় যান চলাচলে ঝুঁকি আছে। সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে যান চলাচল ও জনগণের সুবিধা হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী অংশৈপ্রæ মারমা বলেন, বান্দরবান ও রোয়াংছড়ি সড়কে ১১টি সেতুর মধ্যে ৫টি অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকায় হানসামা পাড়া এলাকায় নোয়াপতং খালের ওপর বেইলি সেতুর পরিবর্তে নতুন গার্ডার সেতু নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় সেতুটি পরিদর্শন করে রোয়াংছড়ি সদর জিরো পয়েন্টে বড় বেইলি সেতু, ১১ কিলোমিটার পুনর্বাসন পাড়া এলাকার বেইলি সেতু ও ৪ কিলোমিটার এলাকার স্বাগতম সেতুতে ঝুঁকি থাকায় নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে চলতি অর্থবছরে ডিসেম্বর মাসে দিকে নতুন সেতু নির্মাণে কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়