বরিস জনসন : বিয়ের পার্টির পরিকল্পনা বদল

আগের সংবাদ

রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাবের শঙ্কা : ইউরোপে মন্দার প্রভাব পড়বে রপ্তানি আয়ে, বিদেশি ক্রেতা ধরে রাখার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের

পরের সংবাদ

বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ : অবৈধ নিয়োগে চাকরি করছেন দুই প্রভাষক

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রফিকুল ইসলাম, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে : বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজে অবৈধভাবে নিয়োগে চাকরি করছেন বাংলা বিভাগের দুই প্রভাষক। একাধিকবার মাউশি এদের অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠি দিলেও বহালতবিয়তে চাকরি করছেন তারা। খোঁজ নিয়ে ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন বাঞ্ছারামপুর ডিগ্রি কলেজের শূন্যপদের জন্য ২০১৩ সালের ৭ মে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একজন প্রভাষক ও অনার্স বাংলা বিভাগের সৃষ্ট পদে পাঁচজন প্রভাষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেন কলেজের অধ্যক্ষ। পাস ও অনার্স বিভাগের ছয়টি পদের বিপরীতে পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে পাস কোর্সের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন সাইফুল ইসলাম, দ্বিতীয় হয়েছেন ইয়াছিন, অনার্স বিভাগের প্রথম হন ইয়াছিন, দ্বিতীয় হন আব্দুল্লাহ আল বাকী, তৎকালীন কলেজ পরিচালনা পর্ষদে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের সভায় উভয়ের নিয়োগ অনুমোদন হয়। পাস কোর্সের নিয়োগ পাওয়া সাইফুল ইসলাম ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন, অনার্স বিষয়ে প্রথম হওয়া ইয়াছিন যোগদান না করায় দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ আল বাকী ২০১৪ সালের ৪ মার্চ যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল পাস কোর্সে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন ইয়াছিন। অন্যদিকে অনার্স বিষয়ে ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই শুক্রবারে অধ্যক্ষের স্ত্রী রত্মা খানমকে নিয়োগপত্র ও যোগদান একই দিনে দেখানো হয়। প্রতিটি পদের বিপরীতে তিনজন করে প্রার্থী থাকার বিধান থাকলেও পাস ও অনার্স বিষয়ে ৫ জন করে প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেও দুজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়। তৎকালীন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা ও অধ্যক্ষ তার পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি দিতে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই যোগদানপত্র ও নিয়োগ দেন। পাস কোর্সের প্রভাষক পদে নিয়োগ পাওয়া ইয়াছিনের নিয়োগ নিয়মবহির্ভূত হয়েছে, এই মর্মে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি মাউশির সরকারি পরিচালক হেলাল উদ্দিন একটি চিঠি দেন। ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজের সভাপতি মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম মাউশির বরাবর কলেজ সরকারিকরণে পদসৃজনের জন্য একটি তালিকা পাঠান। তাতে তিনি বাংলা বিভাগের নিয়োগ পাওয়া রত্মা খানমের নিয়োগ অবৈধ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম জানান, পাসকোর্সে সাইফুল ইসলাম যোগদান করেছিল আর অনার্সে প্রথম হয়েছিল ইয়াছিন। ইয়াছিন অনার্সে প্রথম হয়ে পাসকোর্সে কীভাবে নিয়োগ পেল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পরে কথা বলি বলে ফোন কেটে দেন। কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমা বলেন, বিষয়গুলো আমি তদন্ত করতে এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দিয়েছি। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়