বরিস জনসন : বিয়ের পার্টির পরিকল্পনা বদল

আগের সংবাদ

রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাবের শঙ্কা : ইউরোপে মন্দার প্রভাব পড়বে রপ্তানি আয়ে, বিদেশি ক্রেতা ধরে রাখার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের

পরের সংবাদ

ঝিনুক গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের ভাগ্য ফেরেনি ৩২ বছরেও

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেরপুর ও ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৩২ বছরেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি ঝিনুক গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের। এ গুচ্ছগ্রামে নারী-পুরুষ, শিশুসহ প্রায় ২০০ লোকের বসবাস। নানান সমস্যাসহ অভাব-অনটন, দুঃখ আর দুর্দশা যেন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের নিত্য সঙ্গী।
জানা গেছে, ১৯৯০ সালে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে ২০ একর জমির ওপর তৎকালীন সরকার গুচ্ছগ্রামটি নির্মাণ করে। এ গুচ্ছগ্রামে ২০ জন গৃহহীন ছিন্নমূল ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ২০ একর জমিও দেয়া হয়। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ জানান, ওই জমি চাষাবাদের সৌভাগ্য আজো হয়নি ভূমিহীন পরিবারের লোকজনের। জমিগুলো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দলিল করে দেয়া হলেও শুরু থেকেই ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছে বনবিভাগ। এ নিয়ে বনবিভাগের সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে পড়েন ভূমিহীনরা। এক পর্যায়ে ভূমিহীনরা ওই জমিতে লিচুসহ বিভিন্ন জাতের ফলমূলের বাগান গড়ে তোলেন। এখান থেকে লাভের মুখও দেখতে শুরু করেন ভূমিহীন পরিবারের লোকজন। হারুন মিয়া জানান, বনবিভাগ ভূমিহীন পরিবারের বাগানটি ধ্বংস করে দেয়। ফলে চরম বিপাকে পড়েন ভূমিহীন পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে বর্তমানে মামলা চলছে। এভাবে মামলার ঘানি টানতে গিয়ে ভূমিহীন পরিবারের লোকজন এখন দিশাহারা। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা হাসেন আলী জানান, বর্তমানে ওই গুচ্ছগ্রামে প্রায় ৬০টি পরিবার বসবাস করে। ওই ৬০ পরিবারে শিশুসহ প্রায় ২০০ লোকের বসবাস। সরকারের দেয়া জমি রক্ষা করতে মামলার ব্যয়ভার মেটাতে গিয়ে ভূমিহীন পরিবারের লোকজন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ইমান আলী, দেয়ানত আলী, সিদ্দিক আলীসহ আরো অনেকেই জানান, ১৯৯০ সালে তাদের পুনর্বাসনের পর সরকার আর খোঁজখবর নেয়নি। জুটেনি সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা। গুচ্ছগ্রামের সভাপতি মো. আব্দুল হাই বলেন, সরকার আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছে। চাষাবাদের জন্য জমিও দিয়েছে। কিন্তু জমিগুলো চাষাবাদের সুযোগ করে দিলে আমরা উপকৃত হবো। এছাড়া গুচ্ছগ্রামের দিকে সরকার যদি একটু সুদৃষ্টি দেয় তাহলে বেঁচে থাকার পথ সুগম হবে।
নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যাগুলো সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ বলেন, সরজমিন দেখে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়