বরিস জনসন : বিয়ের পার্টির পরিকল্পনা বদল

আগের সংবাদ

রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাবের শঙ্কা : ইউরোপে মন্দার প্রভাব পড়বে রপ্তানি আয়ে, বিদেশি ক্রেতা ধরে রাখার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের

পরের সংবাদ

আড়তে আসছে চামড়া : নাটোরে দাম কমের অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, নাটোর : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাটোরের চামড়া আড়তে শুরু হয়েছে কুরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা। ঈদের দিন দুপুরের পর থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। তবে চামড়ার দাম অনেক কম বলে অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। আর আড়তদারদের দাবি তারা সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছেন। এবার ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। খাসি ১৮ থেকে ২০ এবং বকরি ১২ থেকে ১৪ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া দামে চামড়া কিনেছেন বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা। এরই মধ্যে জেলা ও তার আশপাশ থেকে আসা চামড়া লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করছেন আড়তদাররা। তারা বলছেন সপ্তাহখানেকের মধ্যে বিভিন্ন জেলার চামড়া আমদানি হবে। সেই সঙ্গে ঢাকার ট্যানারিগুলোয় চামড়া সরবরাহ শুরু হবে।
নাটোর সদর উপজেলার হালসা ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামের মৌসুমি ব্যবসায়ী দেওয়ান ফরিদ, কাবিল হোসেন, দত্তপাড়ার কামাল হোসেন, জাকির হোসেন, তেলকুপি গ্রামের আবিদ হোসেন, নলডাঙ্গা উপজেলার সমসখলসি গ্রামের জুয়েল হোসেনসহ আরো অনেকে বলেন, তারা খাসি কুরবানির পরে সেই চামড়া বিক্রি করতে চাইলে ফরিয়া ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস চামড়া ২৫-৩০ টাকা দাম বলে। সে কারণে তারা চামড়া এভাবে বিক্রি না করে স্থানীয় মাদ্রাসায় দিয়ে দিয়েছেন। কয়েক বছর ধরেই চামড়ার দাম কমে গেছে। শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে চামড়া কেনা ব্যবসায়ী শাহাজাহান আলী বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খাসির চামড়া কিনেছেন। প্রকারভেদে ৩৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। এখন আড়তে বিক্রি করতে এসে সেই চামড়া গড়ে ৪০ টাকা পিস বলছেন আড়তদাররা। এছাড়া গরুর চামড়া তারা কিনেছেন প্রতি পিস ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এখন নাটোর চামড়া বাজারে এসে আড়তদাররা প্রতি পিস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার বেশি বলছেন না। নাটোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, আড়তদার লুৎফর রহমান, মাসুম হোসেন, বাবলু মিয়া জানান, দেশের প্রায় ৪০টি জেলার কাঁচা চামড়া নাটোরের আড়তে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসবেন। এখন শুধু শহরের কুরবানির পশুর চামড়াগুলো ব্যবসায়ীরা এ আড়তে নিয়ে আসছেন। সেই চামড়াগুলো এখনো পরিষ্কার করে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। দ্রুতই জেলার বিভিন্ন উপজেলার চামড়াগুলো বিক্রেতারা আড়তে নিয়ে আসবেন। গত দুই বছরের চামড়ার ঘাটতি এবার পূরণ হবে বলে মনে করেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়