ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ : পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরের ফের মামলা

আগের সংবাদ

কে কোথায় কুরবানি দিচ্ছেন

পরের সংবাদ

২৫ মনের মৌলভীবাজারের ‘কিং’ : ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় খামারি

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সালেহ এলাহী কুটি, মৌলভীবাজার থেকে : কুরবানি ঈদের বাকি মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে দেখা মিলেছে মৌলভীবাজার জেলার আরেক তারকা গরুর। ২৫ মণ ওজনের শাহী ওয়াল জাতের এ গরুর নাম কিং। এটি মোটাতাজা করতে কোনো ধরনের ইনজেকশন বা স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিদিন দূর-দূরান্তের দর্শনার্থীরা আসছেন কিংকে দেখতে। তবে জেলায় বন্যা থাকায় ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ষাঁড়ের মালিক।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হাইল হাওর এলাকার মালিকপুর এগ্রো ফার্মের জেলার সবচেয়ে বড় গরু কিং কুরবানির হাট মাতাবে। তাদের খামারে কিংসহ শতাধিক গরু আছে। প্রতিটি গরুকে নিয়ম মেনে খাবার খাওয়ানো ও পরিচর্যা করা হয়। কিং নামে গরুটি নিজের ফার্মে উৎপাদিত বাচ্চা থেকে লালন-পালন করে বড় করা হয়। প্রতিদিন ১০ কেজি ওজনের ভুসি, গম, খৈলসহ ঘাস খাবারই দেয়া হয়েছে। ১ হাজার কেজি ওজনের গরুটি রং, উচ্চতায় জেলার সবচেয়ে বড় গরুর খেতাব পাওয়া এর দাম চাওয়া হচ্ছে ৬ লাখ টাকা।
জেলায় বন্যার কারণে ভেঙে গেছে খামারিদের মন। মালিকপুর এগ্রো ফার্মের মালিক মো. সোহাদ বলেন, কুরবানির হাটে নেই ভারতীয় গরু। গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়াতে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা করেন। তার খামারের জেলার সবচেয়ে বড় গরুর বিষয়ে আরো বলেন, প্রতিদিন গরুটি দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গার মানুষজন আসছেন। এছাড়া অনলাইনে অনেকেই দাম-দর করছেন।
ভেটেনারি সার্জন ডা. নিরোধ চন্দ্র সরকার বলেন, ভারত থেকে গরু আমদানি না হওয়ায় অনেক তরুণ উদ্যোক্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব উদ্যোক্তা দেশি-বিদেশি জাতের গরু পালন করে একদিকে যেমন লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে মাংসের চাহিদা পূরণে কাজ করছেন।
মৌলভীবাজার ভেটেনারি অফিসার ডা. ওয়াহিদুল আলম জানান, জেলায় ৬৪ হাজার গবাদি পশুর চাহিদার বিপরীতে ৭২ হাজার গবাদি পশু প্রস্তুত আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়