ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ : পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরের ফের মামলা

আগের সংবাদ

কে কোথায় কুরবানি দিচ্ছেন

পরের সংবাদ

বেনোজল

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আকাশে মেঘমাখানো বিশাল ছবি দেখে কোমরের আঁচল খুঁচিয়ে মাছুমা পা ঠেলে উঠানের দিকে। ঠিকঠাক সূর্য ওঠেনি গত দুসপ্তাহ। গাঢ় অন্ধকার নেমে আসায় মনে হলো সন্ধ্যা উৎসব। ঘড়ির কাঁটায় কয়েক মিনিট বাকি; অন্ধকার দেখা দিলেই মাছুমার বুকের ভেতর ছাঁৎ ছাঁৎ করে ওঠে। ভয় কাটেনি; আবারো লোকমুখে বন্যার কথা চাউর হচ্ছে।
ভরবৃষ্টিতে পিচ্ছিল ঘরের ডানদুয়ার। পিঁড়িতে পলিথিনের ওপর রাখা ইটগুলো নেড়েছেড়ে দেখে সে। গত বছর বেনোজলে ঘরের খুঁটিগুলো হেলিয়ে গেছে উত্তরের দিকে। বৃষ্টিজলে ধুইয়ে ধুইয়ে ঘরের চারপাশের মাটি আলতো হয়ে যাওয়ায় বিষম ডর লাগে তার মনে। আবার জল এলে পথের কিনারে খুপড়িতে ঠাঁই ছাড়া উপায় নেই। ভিক্ষে করে পেট ডাউস করা ছাড়া বাঁচার সুযোগও কম। কিন্তু ভিখেরি হলে যে বদনাম তৈরি হবে তা ঘুচাবে ক্যামনে। লায়েক মেয়েরে কেউ ঘরে তুলবে না; সবাই বলবে ভিখেরির মেয়ে। মা হয়ে মেয়ের সর্বনাশ মেনে নেয়ার গিঁট নেই তার শরীরে। এই কথা ভেবে ক’দিন আগেই এনজিও থেকে টাকা উঠিয়ে মাটি উঁচু করে ঘরের চার চারটি চাল খাড়া করেছিল মাছুমা। মাসিক কিস্তি, কিস্তির জ্বালায় বর্ষা মৌসুমে কাজ না থাকায় জেলা শহরে হোটেলের মিছিয়ারি কাজ নিয়েছে স্বামী তাহির আলি।
বাড়িতে থাকে মাছুমা আর ছোটো মেয়ে বেনু। বড়ো ছেলে তাহেরপুরে নৌকা বেয়ে মানুষ পারাপার করে। যাদুকাটা নদীতে জলঢেউয়ের খেল দেখে বাড়িতে মাকে ফোনকল করে ছমির। মাছুমা ছমিরের কথা শুনে বারবার ঘরের চারপাশ খেয়াল করে। এবার বেনোজল এলে পথে নামা ছাড়া উপায়ান্তর নেই।
খানিক আগে বৃষ্টি বন্ধ হলেও বেনোহাওয়া থামেনি। মাছুমার ছোটো মেয়ে বেনু, বছর পনেরো আগে বন্যামৌসুমে পেট খালাস হয়েছে মেয়েটি, বন্যার সময় খেয়াল করে মেয়েটির নাম রাখে বেনু। পড়াশোনায় তার বেশ গতি। পরের মাসে এসএসসি পরীক্ষা, মহামারির কারণে গত বছরও পরীক্ষা হয়নি। এবার পরীক্ষা না হলে আর পড়াশোনা করবে না; পরীক্ষা না হলে পড়ালেখায় মন ধরে না। সন্ধ্যা নামলে টেবিলে বসবে, হাত-মুখ ধুয়ে টেবিলে বসা তার অভ্যাস, সে পুকুরের দিকে পা বাড়ায়। বিলের কান্দায় পুকুরের মুখ, পুকুরের পাড় উপচিয়ে বাড়ির দিকে জল ওঠে। হাত-মুখ ধুইয়ে পা গলাতেই মাছুমার ডাক শোনা গেল। বেনু… ও বেনুউ… বেনুউ…কিতা, কও! গরু ঘরটা দেখিলাই। মাছুমার দুই-দুটো দুধের গাভী, দিনে দশ কেজি দুধ দোহন করে মিষ্টির দোকানে পাঠায়। সংসারে আয়ের মূল চালান দুধ বেচা। শ্রম থাকলে তলপেট উপোস থাকে না; তাজেতোয়াজে দুবেলা খাবার খেতে পারে, শ্রমে ও ঘামে মাছুমার মুঠের ওপর সংসার চলছে।
দুধের গাভিগুলো বাগানের ওপাশে। গাভিগুলো দেখতে বেনু গোয়াল ঘরে গেল। গোবরডোবায় জল থইথই করছে। গোবরের সোনালি রঙে শস্য বেড়ে ওঠার জোর লুকিয়ে থাকে, কাঁচা গোবরের কী ত্যাজ! নাকের ছিদ্রে নিঃশব্দে ঢুকে যাচ্ছে। জৈবসারের খনি, রোদমৌসুমে শস্যবোনার সময় এগুলো শুকিয়ে দিলে ফসলি গাছগুলো হনহন হয়ে ওঠে। সেহেতু এগুলো গর্তে বহু যতেœ রাখে মাছুমা কিন্তু আজ বেনোজলে লেপ্টে গেছে পুরো গোয়ালঘর। হঠাৎ খনির খোঁজ পাওয়ায় কেউ কী চুপিচুপি খনির আশপাশ খুঁড়ছে। এমনটা মনে হচ্ছে বেনুর। সিলিন্ডার গ্যাসের খনি নাকি এভাবেই পাওয়া গেছে। বেনু স্কুলের ম্যামের বাসায় সিলিন্ডার দেখে ম্যামকে সেদিন বহু প্রশ্নে জর্জরিত করছিল কিন্তু ম্যাম বিরক্ত না হয়ে সহজ ভাষায় তাকে বুঝিয়ে দেয়। সেদিনের কথাগুলো মনে করতেই সে দেখতে পায় গোবরের স্তূপ নেই, সোনা রঙের গোবরখনি। লেপ্টে গেছে গোয়ালঘর এবং আশপাশেও। বাছুরগুলো দুধের বাটে ঘনঘন ঘাঁই মারছে বাছুরের খুরে গোবর-কাদাজল চিকচিক করছে।
বেনু জল উপচানো দেখে জোর গলায় চিৎকার করল। মাছুমা দৌড়ে গেল। ততক্ষণে জল গরুঘর ও উঠান পেরিয়ে ঘরের ভেতর উঠে গেছে। জলের অনেক স্রোত। নদী কত দূরে, পূর্বে কখনো নদীর সর্বনাশা রূপ দেখেনি। আজ কী দেখছে? নদীহীন জলস্রোত। মা-মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে হাতে হাত রেখে ঘরের দিকে ওঠে। দ্রুত বেগে জল বেড়ে যাচ্ছে। মাছুমার চোখের জল দেখা যায় না; কিন্তু কান্নার ভাঙাচোরা গলায় বেনু বুঝতে পারে মায়ের আকুতি।
ঘরে হাঁটুজল। আসবাবপত্র, বইখাতা ভিজে স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। যেখানে জীবন বাঁচে না; বইয়ে কী হবে। জ্ঞানের মড়ক লেগেছে। তবুও বইগুলো খাটের ওপর আগলে রাখে বেনু। মাছুমা দরজার কপাট ধরে গাভীগুলোর দিকে তাকায়, বাছুরগুলো জলের ওপর মুখ রেখে রেখে উঁচুতে ওঠার চেষ্টা করছে। কোথাও উঁচু নেই; জলাভূমি।
হাঁস-মুরগির দরজা বন্ধ। মিনিট কতেক আগে হাঁসের খকখক শব্দ শোনা গেলেও খড়ের একহাত ওপরে জল, এখন আর কোনো শব্দ শোনা যাচ্ছে না। ছোটো গাছ ডুবে যাওয়ায় পাখিগুলো নীড় ছেড়ে বড়ো গাছের ডালে বসে বসে চিৎকার করছে। জল ছাড়া চোখে আর কিছু ভাসে না। মাছুমার জলচুয়ানো শরীরে জামাকাপড় প্যাঁচ প্যাঁচ করছে। ত্যানাত্যানা কাপড়ের ভাজে ভাজে রোয়াহাড় দেখা যাচ্ছে, জলচাপা বুকের চিহ্ন, জলনামা উঁচুটিবির মতো একটু দৃশ্যমান। কাপড়ে শরীরে শুকনো জামাকাপড় নেই। এক কাপড়ের চপচপে শরীর নিয়ে টুকিটাকি জিনিসপত্র ঘুচাচ্ছে সে।
ছমিরের উঁচু গলা শোনা গেল। জলের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধিয়ে নৌকা নিয়ে ছুটছে সে। মাঝ বিলে কাঁপা কাঁপা আলো। বিদ্যুতের খুঁটি হেলিয়ে গেছে, মূল সুইচ বন্ধ। শতভাগ বিদ্যুতের দেশে বেনোজল আসায় থমকে গেছে আলো। বড়ো, মাঝারি ও ছোটো গলির পাকা-আধপাকা রাস্তার চিহ্ন বিলীন হয়ে গেছে। টর্চ লাইটের শেষ চার্জটুকু নিয়ে আশ্রয়ের পথে শত শত মানুষ, জলযুদ্ধে সাহসী মাঝি ছমির। লগি টেনে টেনে বুড়ো গাছের গুঁড়ির সঙ্গে নৌকাটা বাঁধে। গাছটি বাড়ির রাজসাক্ষী, একাত্তরে যুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনি মুক্তিবাহিনীকে বেঁধেছিল এ গাছের কোমরে। সেদিন বহু বাঙালি হিন্দু স্রোতের মতো মেঘালয় ও আসামে পালিয়ে গিয়েছিল। দেশ স্বাধীন হয়ে গেল কিন্তু বহুলোকই ফেরেনি। ছমিরের দাদাও সেদিন তাদের সঙ্গে ছিল তার খোঁজ আজও কেউ পায়নি। আজ বিপরীত স্রোত, রাতের আঁধারে চুপ করে জল ঢুকে পড়ছে দেশের ওপর, জলের যুদ্ধ। উত্তর-পুব ও পশ্চিম কোণের ঘরগুলোতে সবাই চেঁচাচ্ছে কিন্তু জলের চাপ ঠেলে কাউকে দেখার সাধ নেই। হাহাকারভরা মানুষের দুয়ারে জলের ভিড়। কুকুর ও বিড়াল ঠাঁই নিতে জলে ফোঁস ফোঁস করে ভাসছে। জীবজন্তু বাঁচানোর জন্য কারো দয়া নেই। জীবনের মায়াশূন্য পথে জলছাড়া আর কিছু নেই কোনোদিকে।
বেনুর পাশে ঘুমাতো পোষা বিড়াল, শখ করে বেড়ালছানার নাম রাখে মিনু। যেদিকে যায় মিনু তার পিছু ছাড়ে না; মহৎ প্রেম সে ভুলতে পারেনি। মিনু হচ্ছে বেনুর গোপন সঙ্গী। বহুসময় ধরে মিনুকে দেখছে না, ঘরে ঢুকে অনেক খোঁজাখুঁজি করছে, মিনুর রাঁ শব্দও নেই। মিনু… মিনু চিৎকার করেও খোঁজ পাওয়া গেল না। মাছুমা মেয়ের আহ্লাদী দেখে বলল, নিজে বাঁচেনা; আরবার মিন মিন করে.. ‘যত ঢং। তোর ঢং দেইখ্যা আর বাঁচি না।’ বেনু কথার উত্তর দেয় না। মাছুমা টর্চের আলো ধরছে বাড়ির উঠানের দিকে। বাছুরগুলো ও গোটা কতেক হাঁড়িপাতিল উঠিয়ে ছমির নৌকা ছাড়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে। এতক্ষণে কত লোক জড়ো হয়ে গেছে সেখানে। জায়গা পাবে না, মনে সন্দেহ। মাছুুমা ও বেনুকে নৌকায় তোলার কথা বললেও মা মেয়ে কেউ কাউকে রেখে যেতে রাজি হয়নি। দুজনে রয়ে গেল।
রাত বাড়ে জলও বাড়ে। জলের চাদরে ঢাকা বিল ও বাড়ি ঘর। মাছুমার নতুন ঘরটি জলে ভাসছে, গাঁয়ের উঁচু বাড়ি তার, এখানে জল ওঠা মানে গাঁয়ের কোনো ঘরদুয়ারই জলেডোবা ছাড়া নেই, জলের রাগ কমেনি। ঘরের ভেতর হাঁটু জলে হেঁটে হেঁটে জিনিসপত্র ঘুচাচ্ছে মাছুমা। বেনু ঘরের ডান দরজায় হেলান দিয়ে জলের উঠতি যৌবন দেখছে। অন্ধকাররর…জলের শোঁ শোঁ শব্দে বেনুর খোঁপাহীন চুলগুলো উড়ছে। ঘরের সবগুলো দরজা-জানালা খোলা রেখেছে মাছুমা। ডানদুয়ারে বেনু, পেছন দিকে জলে আঁচড়ে পড়া শব্দ শোনা গেল। কোনো জন্তু হয়তো আশ্রয়ের প্রত্যাশায় ঢুকে পড়ছে ঘরে। খপ করে বেনুর চোখগুলো ধরে পেলে, অচেনা হাত, মা ছাড়া ঘরে এই মুহূর্তে কেউ নেই, কে এলো। ধস্তাধস্তি করছে সে, মুখ বন্ধ। চারদিকে অথৈ জলে প্রথম চিৎকার শোনা গেলেও দ্বিতীয় চিৎকার আর ভেসে আসেনি মাছুমার কানে। ঠ্যাং ফেলে ফেলে পৌঁছলো ডানদুয়ারে কিন্তু বেনু নেই।
রাত ভোর ভোর। সুবহে সাদিকের আলো ঠিকরে পড়ছে গাছের ফাঁকে ফাঁকে। মনে হচ্ছে জলচ্ছবি। না! দৃশ্যটা জল ও মাটির। বেনোজলে ভাসা গাঁও। মাছুমা মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে হাঁপিয়ে উঠছে। কোথাও মেয়ে নেই। ভূতের আস্তানা সে চিনে না; কদিন আগেই স্কুলপড়ুয়া বেনুর বান্ধবী হারিয়েছিল। সবাই কওয়াকয়ি করলো দেখতে সুন্দর মেয়েগো ভূতে সাওয়ার করে। পছন্দ হলে তাদের শহরে নিয়ে যায়। সে শহরের নাম নাকি কোওকাব শহর। বেনু নেই, ভূতে আমার সর্বনাশ করলো। দিনের প্রথম ভাগ, চারদিকে আলো। মেও মেও শব্দ শোনা গেল। ঘরের লড়ার সঙ্গে বসে আছে মিনু। মেও মেও করতে করতে ইশারা দিচ্ছে পুব বাগানের দিকে। গাছের গুঁড়ির দিকে নজর গেল মাছুমার। নৌকা বাঁধা, ছমিরের নৌকা। নৌকা রাইখ্যা ছমির কোনে গেল। নৌকায় আধশোয়া মেয়ে, দূর থেকে আলুথালু চুল দেখে জল ভাঙতে ভাঙতে মাছুমা নৌকার শিয়রে গেল। বেনুউ… বেনুুউ… চিৎকার করলেও কোনো শব্দ পাওয়া গেল না। দূরে একটা ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলে যেতো দেখলো। মাছুমা যত ডাকে তারা তত দ্রুতগতিতে নৌকা চালাচ্ছে দেখে মাছুমা বুঝতে বাকি থাকে না; ওটা নিশ্চয়ই মানুষ ভূতের নৌকা। নৌকার পাঠাতনের ওপর কপাল আঁচড়াতে লাগলো মাছুমা। শত শত নৌকার উৎপাতে তাহেরপুর গাঁও কেঁপে কেঁপে ওঠে। সারাদেশের মানুষ চাল ডাল শুকনো খাবার নিয়ে ছুটছে। তাহেরপুরের রাস্তা ও ঘরের চাল ছুঁয়ে ছুঁয়ে নৌকা চলছে। তাহেরপুরের আকাশে হেলিকপ্টারের প্যারাসুটে পুটলি ঝুলছে। অচেনা মানুষ, অচেনা নৌকা দেখতে দেখতে মাছুমা লুটিয়ে পড়ে মেয়ের কাঁধের ওপর। দ্রুতবেগে ছমিরের নৌকার পাশে এসে ভিড়ে তাহির আলির নৌকা। নৌকার ওপর ছমিরের মাথা থ্যাঁতলানো লাশ, এদিকে মাছুমা ও বেনুর দেহ। হু হু করে কেঁদে ওঠে তাহির আলি। এতো লাশ রাখবে কোথায়? ইঞ্জিনচালিত নৌকার শব্দে জেগে ওঠে মাছুমা। বেনুর মাথা ঝুলে গেছে নৌকার বাহিরে, বেনুর রোদেপোড়া রঙের চুলগুলো অ্যাকুরিয়ামের সোনালি মাছের মতো ভাসছে জলের ওপর।
মাছুমা চোখ পাকায় তাহির আলির নৌকার দিকে; জলেভেজা তাহির আলির চোখ গজার মাছের মতো লাল। মাছুমা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে দেখতে জোর গলায় সমস্ত শরীর দুলিয়ে হি হি করে হেসে ওঠে। তাহির আলি ছমিরের নৌকার চারপাশ ঘুরে দেখতে দেখতে লাউডলি হোঁ হোঁ করে হেসে ওঠে। হি হি… হোঁ হোঁ। উদ্ভট হাসির শব্দে দূরের ছামান বোঝাই নৌকাগুলো এগিয়ে আসছে। ছমিরের নৌকার গিঁট ছুটে গেলে থকল খায় মাছুমা। নৌকার ওপর জল বাদনের তালে তালে সে নাচতে থাকে। জলের ওপর বেনুর মরদেহ টলটল করছে। লাশ বহনকারী দুটি নৌকা নিয়ে দুজন দুদিকে। উভয়ে উভয়কে ধরতে কখনো হাসছে কখনো জোরকণ্ঠে চিৎকার করতে করতে নৌকার মেঝেতে গলে পড়ছে…

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়