ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ : পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরের ফের মামলা

আগের সংবাদ

কে কোথায় কুরবানি দিচ্ছেন

পরের সংবাদ

প্রাণিসম্পদের ক্ষতি ব্যাপক : হাওরাঞ্চলে জমেনি পশুর হাট, হতাশ খামারিরা

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে : হাওরবেষ্টিত ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জে গত জুনের ভয়াবহ বন্যায় প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাওরাঞ্চলে দুর্যোগের সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় গো-খাদ্যের অভাব।
এতে করে বেশ বিপাকে পড়েন এ অঞ্চলের খামারিরা। সারা বছর অনেক কষ্ট করে ঈদে ভালো দামে গরু বিক্রি করবেন, এমনটাই আশা ছিল তাদের। কিন্তু সাম্প্রতিক বন্যা তাদের সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে। বাড়িতে জায়গা না থাকা এবং গো-খাদ্য সংকটের কারণে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া।
জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, ধরমপাশা, ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলার গরু-ছাগলের হাটগুলোয় গিয়ে দেখা যায় হাটে সারি সারি গরু-ছাগল রয়েছে। কিছু কিছু ক্রেতাও রয়েছেন, তবে কেউই কিনছেন না গরু-ছাগল। শুধু দামদর করে ফিরে যাচ্ছেন। খামারিরা হতাশ হয়ে গরু-ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
তাহিরপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বাদাঘাট বাজারে কথা হয় বিক্রেতা আ. হাসিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, যে গরু বিক্রি হওয়ার কথা ৫০-৬০ হাজার টাকা সেটির দাম উঠছে ৪০-৪২ হাজার টাকা। সারা বছর গরু পালন করে যে টাকা খরচ হয়েছে, তা উঠানোই দায়।
ধরমপাশার নয়াহাটি পশুর হাটের ক্রেতা শাহিবুর রহমান বলেন, এ বছর হাওরাঞ্চলে বন্যার কারণে পশুর হাট জমে উঠছে না। হাটে কেনাবেচা হচ্ছে অনেক কম। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কারেন্টের বাজার পশুর হাটের ক্রেতা দুলাল মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জে সাম্প্রতিক বন্যায় ধান, মাছ, হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল, ভেড়াসহ মানুষের বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এতে মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। বাড়িঘর মেরামত করে নতুন করে সব কিছু ঠিকঠাক করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।
জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজারের ব্যবসায়ী লোকমান হেকিম বলেন, গোলায় রাখা ধান, পুকুরের মাছ, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব কিছু গেছে এবারের বন্যায়। এসব নতুন করে ঠিকঠাক করতেই হিমশিম খাচ্ছি। তারপরও সামনে কুরবানির ঈদ। আগের বছরের চেয়ে অর্ধেক দামে গরু কিনতে হবে। সুনামগঞ্জের পিপি এডভোকেট খাইরুল কবির রুমেন বলেন, এবারের বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলা সদরসহ ১২টি উপজেলার মানুষ কোনো না কোনোভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাওরাঞ্চলের অনেক সাধারণ মানুষ এ বছর কুরবানি দেয়া তো দূরের কথা পরিবারের সদস্যদের জন্য কাপড়ই কিনতে পারবেন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়