করোনা সনদ জালিয়াতি : হাইকোর্টে রিজেন্ট সাহেদের জামিন আবেদন খারিজ

আগের সংবাদ

‘নিষেধাজ্ঞায় মানবাধিকার লঙ্ঘন’ > মুন্সি ফয়েজ আহমেদ : আমাদের প্রধানমন্ত্রী উচিত কথা বলেছেন

পরের সংবাদ

নান্দাইলে বাজারে আসছে কালো ও সাদা নজরুল

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : নান্দাইলে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে আসছে কালো ও সাদা রংয়ের দুটি ষাঁড়। উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে বীর ঘোষপালা গ্রামের নোহা ডেইরি ফার্মে রয়েছে ৮টি ষাঁড়।
সব ষাঁড় বিক্রির উপযোগী থাকলেও এর মধ্য থেকে কালো ও সাদা নজরুল নামে দুটি ষাঁড় এবারের ঈদে বিক্রি করে করবেন। ইতোমধ্যে বাজারে ষাঁড় তুলতে প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে পল্লী চিকিৎসক নজরুল ইসলাম।
নোহা ডেইরি ফার্মে ৮টি ষাঁড় সব নিজের পালিত গাভী থেকে জন্ম নিয়েছে।
ছোট থেকেই ষাঁড়গুলোকে লালন-পালন করে কুরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। কালো নজরুল ষাঁড়ের বয়স ৬ বছর ৩০ মণ ওজনের দাম হাঁকিয়েছেন ১০ লাখ টাকা।
অপরদিকে সাদা নজরুল ষাঁড়ের ৪ বছর ২৫ মণ ওজনের ষাঁড়ের দাম হাঁকিয়েছেন ৬ লাখ টাকা। খামারি নজরুল ইসলাম জানান, সব ষাঁড় আমার পালিত গাভীর বাছুর। ছোটকাল থেকে লালন-পালন করে বড় করেছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই শুধু দেশীয় খাবার গম, ভুসি, ভাত, ছোলা, চিড়া, খৈল, ঘাস খাইয়ে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করে এবারের কুরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি।
তিনি আরো জানান, বর্তমান গরুর খাবারে বর্ধিত বাজারমূল্যে প্রতিদিন গরুটির পেছনে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
বিক্রির উপযোগী সাদা ও কালো দুটি ষাঁড়ের পেছনে দৈনিক ৮-১০ কেজি দানাদার খাবার, ৪০ কেজি ঘাস, ভুসি ও খড় ১০ কেজি এতে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। ঈদুল আজহায় দুটি গরু ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে কিছুটা লাভবান হবেন এবং কেউ যদি কিনতে চান তাহলে যোগাযোগ করারও আহ্বান করেন। তাছাড়া বড় আকারের গরু ক্রেতা না থাকাও শঙ্কায় রয়েছেন তিনি। নান্দাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জন ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমিত দত্ত বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে এ বছর নান্দাইল উপজেলায় কুরবানির জন্য ১০ হাজার ২৩৫টি গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে ১১ হাজার ৩১টি গবাদিপশু ও প্রাণি প্রস্তুত করা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে ৭৯৬টি উদ্বৃত্ত রয়েছে। এর মধ্যে নজরুল ইসলামের ৩০ ও ২৫ মণ ওজনের দুটি গরু সবচেয়ে বড়।
তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করে বড় করেছেন। আশা করছি সে গরুটি বিক্রি করে লাভবান হবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়