ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ : পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরের ফের মামলা

আগের সংবাদ

কে কোথায় কুরবানি দিচ্ছেন

পরের সংবাদ

‘নিষেধাজ্ঞায় মানবাধিকার লঙ্ঘন’ > মুন্সি ফয়েজ আহমেদ : আমাদের প্রধানমন্ত্রী উচিত কথা বলেছেন

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অভিজিত ভট্টাচার্য : রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ন্যাটো-ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিক্রিয়ায় টালমাটাল অবস্থা গোটা বিশ্বের। বিশেষত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে জ¦ালানির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। দেশে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এই সংকট আরো প্রকট হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ জাতি সংঘ। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশ্বকে শাস্তি দেয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন’। তার এই মন্তব্য বিদ্যমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ বিষয়ে ভোরের কাগজের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের তিনজন শীর্ষ কূটনৈতিক বিশ্লেষক।

কাগজ প্রতিবেদক : নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কখনই কোনো জাতিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আমেরিকার দেয়া নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মন্তব্যকে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গবেষণা করা সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের চেয়ারম্যান এবং চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেছেন, সাহস করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী উচিত কথা বলেছেন এবং এটি ভালো কাজ হয়েছে।
গতকাল তিনি ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, যুদ্ধ দুই পক্ষ করলেও অনেকেই তা উসকে দিচ্ছে। পাশাপাশি এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কেউ অস্ত্র বিক্রি করছে আবার কেউ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এই কারণে সমস্যা হচ্ছে। তবু কেউ থামানোর চেষ্টা করছে না। এখানেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী থামানোর জন্য কথা বলেছেন।
কিন্তু চীন-ভারত যেখানে এ বিষয়ে কথা বলছে না, সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলার প্রভাব কী হবে? এ প্রশ্নের জবাবে এই কূটনীতিক বলেন, কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিয়ে কথাটি বলতে হতো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলে উচিত কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-টোয়েন্টি সদ্য রাষ্ট্রদের বৈঠক চলছে। সেখানে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে ভারত-চীনও যোগ দেবে। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের যোগ দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিছু বললে মন্দ কী? হয়তো তার ওই কথা সেখানে আলোচনাও হতে পারে। কাজেই প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তা বাহবা পাওয়ার যোগ্য।
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, সবসময় সব বিষয় আমলে নিলে হবে না। মাঝে মাঝে কথাগুলো বলতে হবে। আর সবাই যেখানে কষ্ট পাচ্ছে, সেটা উপলব্ধি করেই তো প্রধানমন্ত্রী এমন কথা বলেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়