করোনা সনদ জালিয়াতি : হাইকোর্টে রিজেন্ট সাহেদের জামিন আবেদন খারিজ

আগের সংবাদ

‘নিষেধাজ্ঞায় মানবাধিকার লঙ্ঘন’ > মুন্সি ফয়েজ আহমেদ : আমাদের প্রধানমন্ত্রী উচিত কথা বলেছেন

পরের সংবাদ

নরসুন্ধা নদের উপর নির্মাণাধীন কাওনা সেতুর কাজে ধীরগতি : এবারো ঈদযাত্রায় ভোগান্তি পোহাবেন লাখো মানুষ

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ৭, ২০২২ , ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : সেতুর কাজে ধীরগতির কারণে বিগত বছরের মতো এবারো ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ পোহাতে হবে ঢাকা থেকে ঈদযাত্রায় ছুটিতে বেড়াতে আসা লাখো যাত্রীকে। হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের নরসুন্ধা নদের উপর নির্মাণাধীন কাওনা সেতুর কাজে ধীরগতির কারণে। সেতুর কাজ করতে গিয়ে বহমান নদের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে ডাইভারসনে ভাঙনের কারণে বছর থেকে বিকল্প পথে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করে আসছে প্রতিদিন হাজারো যাত্রীবাহী ও মালবাহী পরিবহন।
বিগত বছর কাজ শুরু হলে ৩০ মে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ডাইভারসনের ভাঙনের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া উপজেলার লাখো যাত্রীকে। ঈদযাত্রায় ঢাকা থেকে কাপাসিয়া-টোক হয়ে বাড়িফেরা যাত্রীদের যোগাযোগের সহজ রাস্তা হওয়ার এ অঞ্চলের আগত যাত্রীদের চিরচেনা রাস্তায় এ অংশের ভাঙনের কারণে অনেককে বিকল্প রাস্তার খোঁজে পেছন ফিরে ১০কিলোমিটার পাকুন্দিয়া গিয়ে আরো ২৫ কিলোমিটার ঘুরে বাড়ি ফিরতে হবে ডাইভারসনে ভাঙনের কারণে।
দুদিকের দুটি গার্ডার নির্মাণ করার পর ১০ মাস বন্ধ থাকার পর আরেকটি গার্ডার নির্মাণ করার পর আবারো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উধাও হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সূত্রে জানা যায়, কাওনা সেতুর কাজ পাওয়া এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্ষমতাসীন দলের দাপটে কিশোরগঞ্জের এস আলম নামের এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উপজেলার হাজিপুর-গোবিন্দপুর সড়কের ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে ২ বছর ধরে এভাবে ফেলে রেখেছেন। কাওনা বাজার থেকে আমতলী পর্যন্ত সড়কের কাজ ও তারাই করেছেন। এছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকা কাজের টেন্ডার পাওয়ায় সেখান কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তারা এখানকার প্রকৌশলীদের ফোন পর্যন্তও রিসিভ করছেন না।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৩৭৮০ মি. চেইনেজে ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে পিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণকাজের জন্য বিগত বছরের ১১ ফ্রেব্রুয়ারিতে কুমিল্লার এইচ/এন-৪৬৪, পুনাম পেলস, এইচটিবিএল সার্চের (জেবেকা) সঙ্গে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সড়কের কাওনা এলাকার নরসুন্ধা নদের উপর ব্রিজটি নির্মাণের চুক্তি হলেও সাব-কন্টাক হিসেবে কিশোরগঞ্জের এস আলম চুক্তিবদ্ধ হয়, যা সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ৩০ মে।
সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে দুপাশে দুটি গার্ডার নির্মাণের পর থেকে ১০ মাস পর আরেকটি গার্ডার নির্মাণের পর আবারো ৩ মাস ধরে কাজ ফেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবারো উধাও হওয়ায় নদের উপর ডাইভারসন বাঁধ দিয়ে যান চলাচলের সাময়িক ব্যবস্থা করেও দিলেও শুকনা মৌসুমে অনেক কষ্টে ছোট-বড় যান চলাচল করলেও প্রায়ই দুর্ঘটনার নিয়ে এভাবে পারাপার করলেও এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী জলসিঁড়ি পরিবহনের বাস ও মালপরিবাহী ট্রাক প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে, এতে সময় ও জ্বালানি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হক জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস আলমকে ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এভাবে পড়ে থাকলে তো জনদুর্ভোগ হবেই।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার জন্য। অন্যথায় চুক্তি বাতিল করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়