মুম্বাইয়ে ভবনধসে নিহত ১৯

আগের সংবাদ

বানভাসিদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

পরের সংবাদ

পদ্মা সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পারাপার হচ্ছে মোটরসাইকেল

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি : দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে গত মঙ্গলবারও অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে আসেন। তবে জাজিরা টোল প্লাজা থেকে সবাইকে সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। মাঝিকান্দি ঘাটে একটি ফেরি চালু থাকায় বাধ্য হয়ে বাইকাররা ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে মোটরসাইকেল পারাপার করেন। তবে কেউ কেউ টোল প্লাজা থেকে ৫০০-৭০০ টাকা ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল পিকআপে উঠিয়ে ট্রিপল দিয়ে ঢেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন। জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে পদ্মা সেতুর জাজিরা টোল প্লাজায় যানবাহনের চাপ শুরু হয়। তবে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধের ঘোষণায় টোল প্লাজা এলাকায় যানজট ছিল না। সকাল থেকেই টোল প্লাজা এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এ দিনও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল আসে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে। কিন্তু প্রশাসন তাদের জাজিরা টোল প্লাজা থেকেই ফিরিয়ে দেয়। কেউ কেউ ৫০০-৭০০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে পিকআপ বা ট্রাকে মোটরসাইকেল উঠিয়ে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন। বেশির ভাগ মোটরসাইকেল শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটে যায় ফেরিতে পারাপারের জন্য। কিন্তু এ রুটে মাত্র একটি ফেরি চালু থাকায় দুর্ভোগে পড়েন বাইকাররা। বাধ্য হয়ে ট্রলারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা পাড়ি দেন তারা। গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে গণপরিবহন পারাপারের জন্য চালু করা হয়। কিন্তু কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য পরদিন থেকে কঠোর অবস্থান নেয় প্রশাসন। সেতু পারাপারের জন্য আরোপ করা হয় বিধিনিষেধ। এদিকে বাংলাবাজার ফেরিঘাট গেল এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। খুলনা থেকে আসা সিহাব বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলো এতে আমরা খুবই খুশি। কিন্তু মোটরসাইকেল নিয়ে যদি না যেতে পারি তাহলে আমাদের দুর্ভোগ আর কাটল কই। বিষয়টি সরকারের দেখা উচিত।
গৌরনদী থেকে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জাজিরা টোল প্লাজায় পুলিশ মোটরসাইকেল ফিরিয়ে দিয়েছে। তাই কোনো উপায় না পেয়ে ফেরিতে পার হতে মাঝিকান্দি ঘাটে এসেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও ফেরি না পেয়ে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে চড়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছি।
শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, যেসব যানবাহনের রুট পারমিটসহ সব বৈধ কাগজপত্র রয়েছে আমরা তাদের সেতু পারাপারের জন্য ছেড়ে দিচ্ছি। যেসব গাড়ির রুট পারমিট নেই তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে বিক্রির উদ্দেশ্যে শোরুমের গাড়ি অন্য কোনো পিকআপে বা ট্রাকে আনা হলে তাদের যেতে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু চলাচলকারী কোনো মোটরসাইকেলকে পদ্মা সেতু পারাপার হতে দেয়া হচ্ছে না।
পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়