মুম্বাইয়ে ভবনধসে নিহত ১৯

আগের সংবাদ

বানভাসিদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

পরের সংবাদ

অপরিকল্পিত খাল খনন : পীরগাছায় রাস্তা ও কালভার্ট ভেঙে হুমকির মুখে বসতি

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি : পীরগাছায় অপরিকল্পিতভাবে কাটা নদী খাল খনন করায় ভাঙনের মুখে পড়েছে ৫ শতাধিক পরিবার। ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ও দুটি কালভার্ট। হুমকির মুখে পড়েছে বড় দুটি ব্রিজ ও আবাদি জমি। গতকাল বুধবার ভাঙন এলাকার দুই শতাধিক মানুষ খালের পাড়ে মানববন্ধন করেছেন। স্থানীয় পশ্চিমদেবু আমডারা কাটা নদী খালের উপর এ মানববন্ধন করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে তাম্বুলপুর ও পীরগাছা ইউনিয়নের উপর দিয়ে আলাইকুমারী নদীর সংযোগের কাটা নদীর খাল প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে খালটি গভীরভাবে খনন করে কাটা নদী খাল প্রকল্প সমিতি। চলতি বর্ষায় অবিরাম বর্ষণে প্রায় ১২ কিলোমিটার খালের অংশের তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিমদেবু আমডারা গ্রামের দুই কিলোমিটারজুড়ে দেখা দেয় তীব্র ভাঙন। পানির তীব্র স্রোতে খালের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে খালের দুই পাড়ের বসবাসরত ৫ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, দুই কিলোমিটার রাস্তা ও আবাদি জমি ভাঙনের মুখে পড়ে। ভেঙে যায় সদ্য নির্মিত দুটি কালভার্ট। মাটি সরে গিয়ে হুমকির মুখে পড়ে আরো দুটি বড় ব্রিজ ও ১০টি বসতবাড়ি। স্থানীয় লোকজনের চলাচলের চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার মানুষজন পড়েছেন মহাবিপদে। গতকাল বুধবার ওই গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খালের পাশে মানববন্ধন করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা। এতে বক্তারা বলেন, আমরা রাতে ঘুমাতে পারি না। খাল কেটে আমরা কুমির এনেছি। তাই আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। দ্রুত এই ভাঙন রোধ করা না হলে দুই শতাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে।
পরে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন- উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফীন, উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজা, বজলুর রশিদ মুকুল ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওয়াজেদ আলী সরকার।
পরিদর্শনে আসা কর্মকর্তারা অপরিকল্পিতভাবে খাল কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙনকবলিত দুই কিলোমিটার এলাকায় খালের দুই পাশে গাইডওয়াল নির্মাণের জন্য সব কাগজপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া এ কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়