বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ন : এমপি হারুনের নোটিস নাকচ করলেন স্পিকার

আগের সংবাদ

ঢাকার তৃণমূলে আ.লীগের পদ পেলেন ৫৪ হাজার কর্মী : থানা-ওয়ার্ডে পদ পাচ্ছেন আরো সাড়ে ১২ হাজার > সংগঠন গোছাতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নগর নেতারা

পরের সংবাদ

বড়াইগ্রামে খাল খননে কৃষি বিপ্লবের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আবু সাঈদ, বড়াইগ্রাম (নাটোর) থেকে : বড়াইগ্রামে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের ফলে পানি নিষ্কাশনসহ সেচ কাজে ব্যাপক সুবিধা পাবেন কৃষকরা।
এতে কৃষি বিপ্লবের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহারসহ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে উপজেলার বেশ কিছু খাস খাল পুনর্খনন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
কৃষিনির্ভর এলাকা হওয়ায় রবিশস্য করতে গিয়ে প্রায় সময় কৃষকরা কৃষিকাজে পানি সংকটে ও বর্ষা মৌসুমে আউশ, আমন ধান করতে গিয়ে জলাবদ্ধতায় পড়েন। পানির সে সংকট কাটিয়ে উঠতে জেলার সেচ সম্প্রসারণ (ইআইএনডি) যথেষ্ট অবদান রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ এলাকার কৃষকরা।
বড়াইগ্রাম বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছরে উপজেলায় মোট ৩৩.৫ কিমি দৈর্ঘ্যরে চারটি খাস খাল পুনর্খনন করা হয়েছে। পারকোল ব্রিজ থেকে গলাকাটা ব্রিজ পর্যন্ত পচাবড়াল খাস খাল, আব্দুল খালেকের বাড়ি থেকে তিন গাঙ্গের মাথা পর্যন্ত চন্দনা খাস খাল, পঞ্চগ্রাম কবরস্থান থেকে বদরুল মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত তুলসী খাস খাল এবং বিলশলী ব্রিজ থেকে মিলকিপাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত। বিলশলী খাস খাল ইতোমধ্যে পুনর্খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে পানি নিষ্কাশন ও সেচ সুবিধার্থে প্রত্যেকটি খালই পার্শ্ববর্তী উপজেলা লালপুর ও গুরুদাসপুরের সঙ্গে সংযুক্ত রাখা হয়েছে। প্রকল্পের সব খালের গড় গভীরতা প্রায় ৩ থেকে ৩.৫ মিটার এবং প্রস্থ ১২ থেকে ২২ মিটারের মধ্যে করা হয়েছে।
যেখানে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে ৮ হাজার কৃষকের ফসল করা সম্ভব হবে বলে মনে করে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য খালের উপর তৈরি করা হয়েছে ৮টি ফুট ওভারব্রিজ ও ৬টি কালভার্ট।
উপজেলায় দাইড়পাড়া গ্রামের কৃষক মো. হায়দার আলী, মহিষভাঙ্গা গ্রামের কৃষক নওশের আলী ও সোনাবাজু গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতায় আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
আবার শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহের তেমন কোনো বন্দোবস্ত না থাকায় রবিশস্য করতে পারি না। তবে এ বছর খাল খননের প্রভাবে হযতো আমাদের সে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে আশা করছি।
বড়াইগ্রাম বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইআইএনডি প্রকল্পের আওতায় এ অঞ্চলে খাল/খাস/খাড়ি পুনর্খনন, ফুটওভার ব্রিজ, পাতকুয়া ও সেচ নালা বৃদ্ধিকরণে কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক পর্যায়ে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
খাল থেকে কৃষক তার জমিতে সহজে সেচ নিতে পারবেন। মাঠের ধান ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে গন্তব্য স্থলে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারবে।
এখানে সবচেয়ে সুবিধা হলো- কোনো কৃষকের কাছ থেকে পানি খরচ নেয়া হয় না। শুষ্ক ও বর্ষা উভয় মৌসুমে এটা খুব ফলপ্রসূ। কৃষকবান্ধব সরকার কৃষকের জন্য নিত্যনতুন সেচের ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন।
এ প্রকল্পের সব সুবিধামূলক কাজগুলো নিয়ে বর্তমানে এলাকার কৃষকদের মাঝে উৎফুল্ল বিরাজ করছে।
এলাকায় এগুলোর যথোপযুক্ত ব্যবহার হবে বলে আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়