সিলেট অফিস : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এবারের বন্যায় না খেয়ে কিংবা বিনা চিকিৎসায় একজন মানুষও মারা যায়নি, এটাই বড় প্রাপ্তি। গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের সম্মেলন কক্ষে সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি, ত্রাণ ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন কথা বলেন তিনি।
বন্যা পরবর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ১৪০টিরও বেশি মেডিকেল টিম কাজ করছে, প্রস্তুত রয়েছে আরো দুহাজারের বেশি কর্মী। বন্যাকবলিত এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকেই আমাদের সমালোচনা করছেন। কেউ সমালোচনা করতেই পারে। তবে যারা সমালোচনা বেশি করেন তারা কাজ কম করেন। আর যারা কাজ করেন তারা কারো সমালোচনা করার সময় পান না।
বন্যায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলা পানিতে নিমজ্জিত হবার ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নিচতলায় বিভিন্ন কক্ষে ৩ হাত পরিমাণ পানি ছিল, জেনারেটর রুমে পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যুৎব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। তবে আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা থেকে বিকল্প জেনারেটরের ব্যবস্থা করে বিদ্যুৎব্যবস্থা স্বাভাবিক করি। যার ফলে ওসমানী হাসপাতালে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল এবং যে সময় যা দরকার, যে চাহিদা সেগুলো পূরণ করেছি। আমাদের সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে এবং বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।
এসময় সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিমাংশু লাল রায়, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি দেখেন। সকাল ১১টার দিকে হেলিকপ্টার ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।