টিপু হত্যা মামলা : মুসার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আগের সংবাদ

ভিটাহীন সংসার, আকাশ মাথায় : বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো পানির নিচে, সিলেট-সুনামগঞ্জে নতুন করে বাড়ছে পানি

পরের সংবাদ

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী : মানবিক রাষ্ট্র গড়তে এগিয়ে আসুন

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে আত্মিক উন্নয়ন তথা মেধা, মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটিয়ে আমরা একটি উন্নত মানবিক সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। দেশের মানুষের সেই মনন তৈরিতে সাংবাদিকরা এগিয়ে আসবেন সেটাই প্রত্যাশা। গতকাল সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রখ্যাত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান। বক্তব্য রাখেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল হক ভুঁইয়া ও ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন। কিন্তু সেটির পেছনে কিছু প্রথিতযশা মানুষ, কিছু লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকদের অনবদ্য ভূমিকা না থাকলে জাতির মনন তৈরি হতো না। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন জহুর হোসেন চৌধুরী। আমার কাছে সাংবাদিকতা একটি ব্রত মনে হয়। যারা জহুর হোসেন চৌধুরীর সময় সাংবাদিকতা করেছেন তখন সাংবাদিকতা ব্রত ছিল না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়। অনেক সাংবাদিকের কাছে এটি একটি ব্রত। দেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবিকতা দিনে দিনে লোপ পাচ্ছে। উন্নয়নের সঙ্গে যন্ত্রের ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষও যন্ত্র হয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে। সেজন্য মানবিকতার উন্নয়ন প্রয়োজন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে হয়। রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব হচ্ছে জাতিকে স্বপ্ন দেখানো। সাংবাদিকরাও পারেন স্বপ্ন দেখাতে। আমাকে ছাত্রশিবির দুইবার জবাই করতে চেয়েছিল। ২১ আগস্ট মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি। আমাকেও সাংবাদিকদের অনেক রিপোর্ট কাঁদায় এবং ভাবায়।
জহুর হোসেন চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, জহুর হোসেন চৌধুরীরা যেভাবে তাদের লেখনীর মাধ্যমে সাংবাদিকতার নীতি-আদর্শ আজীবন লালন করে দেশ ও সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচন করেছেন। সমাজকে সঠিক চিন্তার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আজকের প্রেক্ষাপটেও একটি মানবিক সামাজিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র গঠনে অবদান রেখে সেই কাজটি আপনারা করবেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর মেধা ও মননশীল সাংবাদিকতা সংবাদপত্র দুনিয়ায় একটি উদাহরণ। পাকিস্তানি দুঃশাসনের মধ্যেও জহুর হোসেন চৌধুরী দেশে সাংবাদিকতার ভিত গড়ে গেছেন। তার কাজের মধ্য দিয়ে তিনি অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন।
সভা শেষে আয়োজক ও অতিথিরা বিভিন্ন পত্রিকায় জহুর হোসেন চৌধুরীর কলাম লেখনীর সংকলন ‘দরবার-ই-জহুর কলাম’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। ‘আবিষ্কার’ প্রকাশিত ২৪০ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থটি সবাইকে পড়ে দেখার অনুরোধ জানান সভার সভাপতি ডা. এ কে আজাদ খান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়