দৈনিক ওঠানামার মধ্যেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

আগের সংবাদ

জনগণের সাহসেই পদ্মা সেতু : বন্যার দুর্ভোগ ও ক্ষতি কমাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার > বিএনপির নেতা কে? সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্য : পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব পাস

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মুসলিম সম্প্রদায়ের নবীকে কেন্দ্র করে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা। গত সোমবার রাজ্যটির বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাস হয়। তবে বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন হওয়ায় পাস হওয়া নিন্দা প্রস্তাবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রমাগত ব্যর্থতা থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর জন্য বিভাজনমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্ররোচিত না হওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার রাজ্যের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্য সম্পর্কে প্রস্তাব পেশ করেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ সময় তিনি বলেন, রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা স¤প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছি। কিন্তু সারা দেশে যেভাবে স¤প্রীতি নষ্টের চেষ্টা হয়েছে, তা আসলে মূল বিষয় কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। ধর্মের নামে, বিজেপির এক মুখপাত্রের মন্তব্যের জেরে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চলছে। এ ধরনের মন্তব্য করা এবং তাকে ঘিরে উসকানি দেয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এরপর সবার কাছে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রস্তাব হাত তুলে সমর্থন করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সেই নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। বিধানসভার অধিবেশনে সোমবার মমতা বলেন, সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের ভাইদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা রাস্তা ও রেলপথ অবরোধ করবেন না, দয়া করে দোকান ভাংচুর করবেন না। বিজেপিকে কোনো সুবিধা দেবেন না। সময় এসেছে সংযম ও ধৈর্য দেখানোর। হাওড়া, ডোমকল এবং রেজিনগরে কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তাদের ক্ষতিপূরণ দেব। যারা এ ধরনের সহিংসতা ঘটিয়েছে তাদের প্রতি আমার কোনো সহানুভূতি নেই। আমি পুলিশকে বলেছি, ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে।
মমতা বলেন, রাজ্যে সহিংসতা হলে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু এই মহিলা (নূপুর শর্মা) কীভাবে এখনো গ্রেপ্তার হলেন না? আমি জানি তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না। তিনি কলকাতা পুলিশের কাছে চার সপ্তাহের জন্য সময় চেয়েছিলেন। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যবিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দেয়ার সময় প্রতিবাদ জানান এবং পরে ওয়াকআউট করেন। উল্লেখ্য, নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে কলকাতার নারকেলডাঙা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এফআইআর অনুযায়ী, ২০ জুনের মধ্যে তাকে হাজিরা দিতে হতো। কিন্তু গত সোমবার সময়সীমা শেষ হলেও হাজিরা দিতে পৌঁছাননি নূপুর। কলকাতায় প্রাণের আশঙ্কা থাকার দাবি করে চার সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়