মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪৪

আগের সংবাদ

উদ্ধারের অপেক্ষা আর ত্রাণের আকুতি : পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ > ভেসে উঠছে বানভাসি মানুষের লাশ > এখনই সচল হচ্ছে না ওসমানী বিমানবন্দর

পরের সংবাদ

২৭ কোটি টাকা লুটপাট : ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ন্যাশনাল ব্যাংকের বিভিন্ন খাতে খরচের নামে অবৈধভাবে গ্রাহকদের আমানতের ৩০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা) খরচ ও লুটপাটের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অর্থ লুটপাটের ঘটনা অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর তথ্য চেয়ে ৭ জুন চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা ৩০ লাখ ডলার অবৈধভাবে খরচ করা ও অর্থ লুটের বিষয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে বলে গতকাল রবিবার দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর তথ্য-উপাত্ত চেয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নিম্নে বর্ণিত রেকর্ডপত্র/কাগজপত্র পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। অতএব নিম্নে বর্ণিত রেকর্ডপত্র জরুরিভিত্তিতে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর (তদন্ত কর্মকর্তা) কাছে সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হলো। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ইতোপূর্বে এ বিষয়ে রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হলেও সম্পূর্ণ রেকর্ডপত্র সরবরাহ করা হয়নি, ফলে অনুসন্ধান কার্যক্রম বিঘœ হচ্ছে।
যেসব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে তা হলো- ১. ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, নিমতলী শাখায়, মেসার্স ইপস ট্রেডিং কর্তৃক শাখায় চলতি হিসাব খোলার আবেদন, ছবিসহ নমুনা স্বাক্ষর কার্ড, কেওয়াইসি ফরম এবং টিপি ও চলতি হিসাব বিবরণী (শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত)। ২. ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক ঢাকার কাওরানবাজারে এনবিএল টাওয়ার এ বিনিয়োগ এবং নির্মাণসংক্রান্ত রেকর্ডপত্র (প্রাক্কলন, টেন্ডার, ঠিকাদার নির্বাচন, কার্যাদেশ, কাজ সম্পাদন হওয়া সংক্রান্ত প্রত্যয়ন, বিল প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র)। যৌথ বিনিয়োগ হয়ে থাকলে চুক্তিপত্র, ঋণ প্রদানসংক্রান্ত রেকর্ডপত্র। ৩. ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক

চট্টগ্রামে এনবিএল টাওয়ার নির্মাণসংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, (প্রাক্কলন, টেন্ডার, ঠিকাদার নির্বাচন, কার্যাদেশ, কাজ সম্পাদন হওয়াসংক্রান্ত প্রত্যয়ন, বিল প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র)। যৌথ বিনিয়োগ হয়ে থাকলে চুক্তিপত্র, ঋণ প্রদানসংক্রান্ত রেকর্ডপত্র। ৪. রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার, জন হক সিকদার, মমতাজুল হক, মনিকা সিকদার খান, মাসিম হক সিকদার ও সৈয়দ কামরুল ইসলামের নামে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে অদ্যাবধি যেসব ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা হয়েছে তৎসংশ্লিষ্ট যাবতীয় সব রেকর্ডপত্রাদিসহ শুরু থেকে শেষ হিসাব বিবরণী (কেওয়াইসি ফরম, ক্রেডিট নির্দিষ্ট এবং টিপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র যদি থাকে)। ৫. এছাড়া অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র যদি থাকে।
দুদক সূত্র জানায়, গত বছরের ২৪ নভেম্বর ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ সৈয়দ আবদুল বারীকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এর নেপথ্যে ছিল ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে সিকদার পরিবারের সদস্যদের অর্থ খরচ করার তথ্য গোপন রাখার ঘটনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে ধরা পড়ে, ন্যাশনাল ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ৩০ লাখ ডলার (২৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা) খরচ করেছেন এর অন্যতম মালিক সিকদার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেই খরচের (ঋণ) তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি) জমা দেয়নি ন্যাশনাল ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে চেয়েছে, কেন ন্যাশনাল ব্যাংককে জরিমানা করা হবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়