মাদকবিরোধী অভিযানে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৪৪

আগের সংবাদ

উদ্ধারের অপেক্ষা আর ত্রাণের আকুতি : পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ > ভেসে উঠছে বানভাসি মানুষের লাশ > এখনই সচল হচ্ছে না ওসমানী বিমানবন্দর

পরের সংবাদ

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী : জলাবদ্ধতা নিরসন ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি আছে

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা ও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে, ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়া যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করার সামর্থ্য সরকারের আছে বলেও জানান মন্ত্রী।
গতকাল রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোচনা এবং ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ৩য় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শহর। তাই এই দুই মহানগরীর সমস্যা সমাধানে বিশেষ নজর দিয়ে কাজ করা হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম ও ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের অধীন খালগুলো খনন, পুনঃখনন করা হয়েছে। অনেক খাল দখল হয়েছিল সেগুলো সিটি করপোরেশনের মেয়ররা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দখলমুক্ত করে পানি চলাচলের উপযোগী করে তুলেছে। যার সুফল নগরবাসী পাওয়া শুরু করেছে। আগের তুলনায় এখন জলাবদ্ধতা অনেক কমেছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার থেকে পাওয়া খালের পাশাপাশি দুই সিটি করপোরেশন অনেকগুলো খাল দখলমুক্ত করেছে। অনেক বড় বড় ভবন, মার্কেট, বাস-ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাড়ে ছয় একর এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রায় পঁচিশ একর জমি উদ্ধার করেছে। অবৈধ দখল অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন ওয়ার্ড ও নি¤œাঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও অবকাঠামো উন্নয়নে ইতোমধ্যে চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে প্রকল্প পাস করা হয়েছে এবং কাজ চলমান রয়েছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গু নিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়ে বছরের প্রথম থেকেই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। যেসমস্ত কীটনাশক, ওষুধ, যন্ত্রপাতি এবং জনবল দরকার তা তাদের কাছে মজুত আছে।
সারাবিশ্বে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তদের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরে ১১ হাজার ৬৭৪ জন, মালয়েশিয়ায় ১৩ হাজার ৬৫১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২২ হাজার ৩৩১ জন, থাইল্যান্ডে আছে ১ হাজার ৫৮৪ জন, ফিলিপাইনে ৩৬ হাজার ৯৩৮ জন, ভারতে ৮ হাজার ২৭৮ জন। আর আমাদের দেশে ৭৩০ জন।
সিলেট-সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা সম্পর্কে মো. তাজুল ইসলাম জানান, বন্যা এত ভয়ংকর রূপ নেবে এটা সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থা পূর্বাভাস দিতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের কাছে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং অন্যান্য জরুরি সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
সভায় করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়