উদ্ধার করা হয়েছে সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীকে

আগের সংবাদ

আশ্রয়-খাবার নেই, ত্রাণ নামমাত্র : সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়ংকর নির্মমতা > দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যু > সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ চালু

পরের সংবাদ

ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যুবার্ষিকীতে মামুনুর রশীদ : শিল্পী-সাহিত্যিকদের ভূমিকা ভুলে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজনৈতিক দলগুলো শিল্পী-সাহিত্যিকদের ভূমিকা ভুলে যাচ্ছে। অথচ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সম্মিলন না হলে আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ হতো না। গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কালজয়ী সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির ৮৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী আন্দোলনে সাহিত্য এবং সংস্কৃতির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা মামুনুর রশীদ এসব কথা বলেন। ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য নূর আহমদের সভাপতিত্বে এবং কাজী মাহমুদুল হকের সঞ্চালনায় আয়োজিত সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সংস্কৃতিজন অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, লেখক সাংবাদিক ইমতিয়ার শামীম প্রমুখ।
মামুনুর রশীদ বলেন, প্রেরণা ছাড়া জীবন নিরর্থক। মানুষ একটি প্রেরণার পেছনে জীবন কাটিয়ে দেয়। সেই প্রেরণা সাহিত্য ও মানুষের জীবন থেকে আসে। ম্যাক্সিম গোর্কি আমাদের জীবনে অসীম প্রেরণার উৎস ছিলেন। তিনি বলেন, যখন দেখি রাজনৈতিক নেতাদের অনেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন, কিন্তু জীবনে একটু নাটক দেখেননি, গল্পের বই পড়েননি, একটি উপন্যাস পড়েননি; তখন তাকে বাঙালিই মনে হয় না। এটাও মনে হয় না তার দ্বারা দেশের কল্যাণ হবে। নূর আহমদ বলেন, এই ক্রান্তিকালে যেখানে ভোগবাদ ও মৌলবাদ চেপে বসেছে, যেখানে মানুষে মানুষে পার্থক্য বাড়ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন বাংলাদেশের মানুষের আট কোটি টাকা সুইস ব্যাংকে জমা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি, সমাজনীতি, উৎপাদন, মানুষের সম্পর্ক, সংস্কৃতি আমরা কী লোভে সব বিকিয়ে দেব? এই সংকট থেকে উত্তরণে রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান নূর আহমদ।
রতন সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংগ্রাম ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা। এই লড়াইয়ের বিরুদ্ধে শিল্পী-সাহিত্যিকদের এক হতে হবে। শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের দুর্দশা আমরা দেখছি।
কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত এই দুর্দশা সংস্কৃতি ও আপনার ভাবনার মধ্যে যুক্ত না হবে, ততক্ষণ কোনো পরিবর্তন আসবে না।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিবিদদের সাংস্কৃতিক অঙ্গীকার থাকতে হয়, আর সংস্কৃতিকর্মীদের রাজনৈতিক চেতনা থাকতে হয়। তাহলে একটি সমাজ ও রাষ্ট্র সুন্দরভাবে এগোয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়