উদ্ধার করা হয়েছে সুনামগঞ্জে আটকা পড়া ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীকে

আগের সংবাদ

আশ্রয়-খাবার নেই, ত্রাণ নামমাত্র : সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়ংকর নির্মমতা > দুই জেলায় তিনজনের মৃত্যু > সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ চালু

পরের সংবাদ

বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি উত্তরাঞ্চলে : রেললাইনের মাটি সরে বন্ধ ট্রেন

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদনদীর পানি বেড়ে উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, শেরপুরে পানিবন্দি দুই লক্ষাধিক মানুষ রয়েছেন দুর্ভোগে। শেরপুরে ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গাইবান্ধায় নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নেত্রকোনায় রেললাইনের মাটি ধসে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ১৫টি গ্রাম। এ সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট-
তৈয়বুর রহমান, কুড়িগ্রাম থেকে : কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি ধীরগতিতে বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জেলার ৯টি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় নদী অববাহিকার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নিচু অঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।
ব্রহ্মপুত্র নদের ভেতরে জেগে ওঠা দুর্গম চরাঞ্চলে থাকা অসংখ্য পরিবার নৌকা ও বাঁশের মাচাংয়ে আশ্রয় নিয়ে অনাহার-অর্ধাহারে রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু বাঁধ, মাটির টিলা এবং উঁচু সড়কে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিজেদের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়েও অসংখ্য পরিবার বিপাকে রয়েছে। অনেকে তাদের গৃহপালিত গরু-ছাগল উঁচু এলাকায় সরিয়ে নিতে পারলেও গো-খাদ্যের জোগান দিতে না পারায় মহাবিপাকে পড়েছেন তারা। বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষা বিভাগ।
অন্যদিকে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নতুন নতুন এলাকায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। খরস্রোতা তিস্তার তীব্র ভাঙনে উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে নিদারুণ কষ্টে রয়েছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি এখন ভাঙনের অপেক্ষায় রয়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে রাজারহাট উপজেলার ডাংরা বাজারের অদূরে তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকায়।
অন্যদিকে পানির তোড়ে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার ভেঙে কয়েকটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লা আল মামুন জানান, পানির তোড়ে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। আপাতত পানি সামান্য বৃদ্ধি পেলেও অনেকটাই স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যাকবলিতদের জন্য ৯ উপজেলায় ২৯৫ টন চাল, নগদ ১১ লাখ টাকা, শুকনো খাবার ১ হাজার প্যাকেট, ১৭ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ১৯ লাখ টাকার গো-খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলার রৌমারী, রাজিবপুর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোতেও দ্রুত শুরু হবে।
ম শফিকুল ইসলাম, নেত্রকোনা থেকে : জেলার মোহনগঞ্জ-নেত্রকোনা রেলপথ ডুবে তলিয়ে গেছে পানির নিচে। সাময়িক বন্ধ রয়েছে আন্তঃনগর ট্রেনসহ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলার বারহাট্টা উপজেলার অতীতপুর থেকে মোহনগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ রেললাইন এখন পানির নিচে। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা রেলওয়ে মাস্টার নাজমুল হক খান জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ঢলের পানি বৃদ্ধিতে ডুবে গেছে নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ রেললাইনের কিছু অংশ। সে কারণে গতকাল সকালে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকাল একটা ট্রেন মোহনগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাতে না পেরে বারহাট্টা থেকে ঘুরিয়ে ঢাকার দিকে আসছে। আর বারহাট্টা সদর ইউনিয়নে ইসলামপুরে একটা রেল সেতু ভেঙে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। তবে বারহাট্টা রেলওয়ে মাস্টার গোলাম রাব্বানি জানান, সকাল ৮টার দিকে বারহাট্টা রেলওয়ের ইসলামপুরের কাছে ৩৪ নম্বর ব্রিজটি ভেঙে যায়।
এদিকে জেলার ৬টি উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, টানা ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কংশ, মগড়া, সোমেশ্বরী, ধনু, উব্দাখালীসহ ছোট-বড় সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উব্দাখালী নদী কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত প্রতিটি উপজেলায় ২০ টন করে চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবারসহ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ১৮৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তাতে প্রায় ১৬ হাজার ১৮০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
খোরশেদ আলম, শেরপুর থেকে : জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ঘরে পানি প্রবেশ করায় চুলা জ¦লছে না।
মহারশি, সোমেশ্বরী, ভোগাই চেল্লাখালীসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। মহারশি নদীর ঢলের পানির তোড়ে রামেরকুড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ২টি বাড়ি ও একটি মুরগির খামার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর দুই জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভেঙে গেছে ব্রিজ।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, প্রায় ২০ হেক্টর আমন বীজতলা ও ১০০ হেক্টর সদ্য রোপিত আউশ ধানের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রণয়নের জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. লাইলী বেগমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
ফেরদৌস জুয়েল, গাইবান্ধা থেকে : গাইবান্ধায় বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার নদী তীরবর্তী চারটি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, চণ্ডীপুর, কাপাসিয়া, ফুলছড়ির এরেন্ডাবাড়ী, ফজলুপুর, গজারিয়া, ফুলছড়ি এবং সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া। এসব ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এক চরাঞ্চল থেকে আরেক চরাঞ্চলে যাতায়াতের রাস্তাঘাট ডুবেছে। ফলে সেখানকার যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
গতকাল বিকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফুল আলম বলেন, উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বেশ কিছু চরের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও ঘড়বাড়ি ডুবে গেছে। গত কয়েক দিনে ওই দুই ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকা হলে তাদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে। একই সময় ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, শনিবার সকালে তিনি এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে সরজমিন গেছেন। অন্য ইউনিয়নেরও খোঁজ নিয়েছেন।
এদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, তিস্তÍার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া করোতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে ঘাঘট বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। এসব বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, আরো কয়েক দিন নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
জুটন বনিক, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় টানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভারি বর্ষণের কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন এবং মনিয়ন্দ ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্নেল বাজার এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর মধ্যে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর, বাউতলা, সেনারবাদী, উমেদপুর এবং মনিয়ন্দ ইউনিয়নের জয়নগর, খলাপাড়া, আইড়ল, ষোলঘর, ল²ীপুর, খাড়কুট, তুলাইশিমুল, বড়লৌহঘর ও বান্ডুসার গ্রামে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি, গাছ পালা, এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি।
এদিকে হাওড়া নদীর বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি পানিবন্দি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ২৮টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। পানি কমে যাওয়ার পর বাঁধ মেরামত কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়