আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

ছুটির দিনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সবজি বাজারে

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ছুটির দিনে কিছুটা স্থিতিশীল সবজির বাজার। নতুন করে কোনো সবজির দাম বাড়েনি। দাম যে একেবারে কম, তা কিন্তু নয়। কিন্তু হুটহাট আকাশছোঁয়া দাম না বাড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হয়েছে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও রসুন গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হলেও এই বাজারে স্বস্তি নেই ক্রেতাদের।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৩০, কাঁচা পেঁপে ৩০, কাঁচামরিচ ৫০, ঢেঁড়স ২০, টমেটো ১০০, বরবটি ৫০-৬০, উস্তে ৫০, কাকরোল ৩০, চিচিঙ্গা ২০-৩০, আলু ২৫, ধনিয়াপাতা ২০০, শসা ৭০, করলা ৬০, ধুন্দুল ৪০ টাকা করে বিক্রি হয়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৪০, দুই আঁটি লাল শাক ২৫ ও প্রতি আটি পালং শাক ২৫ টাকা করে বিক্রি হয়। দামের বিষয়ে শান্তিনগর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আলিমুদ্দি বলেন, বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে আগের দামেই সবজি কিনে নিয়ে আসছি। তাই দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বন্যার অবনতি হলে দাম বাড়তে পারে বলে মনে করেন এই বিক্রেতা।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে কথা হয় বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জাহিদের সঙ্গে। তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, বাজারে অন্যান্য পণ্যের তুলনায় সবজির বাজার কিছুটা স্থিতিশীল। তবে দাম যে একেবারে কম, তা বলা যাবে না। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম হুটহাট করে বাড়েনি, এটাই স্বস্তি বলেও মনে করেন এই ক্রেতা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি দেশি রসুন ৮০, আমদানি করা রসুন ১৪০, দেশি আদা ১২০, আমদানি করা আদা ১২০, দেশি পেঁয়াজ ৪০, দেশি মসুর ডাল ১৪০, আমদানি করা মসুর ডাল ১২০, মিনিকেট চাল ৭০, নাজিরশাইল ৫০, পাইজাম ৫৫ ও বিআর-২৮ চাল ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে বাজারে দুই সপ্তাহ ধরে কমতির দিকে সোনালি মুরগির দাম। কিছুদিন আগে ৩৩০ টাকা বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি এখন ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দাম কমেছে প্রায় ৪০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম আরো কমতে পারে বলেও আভাস মিলেছে। তবে আগের দামে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। রাজধানীর মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি ১৬০-১৮০, শিং মাছ ৩০০-৪৬০, শোল মাছ ৪০০-৬০০, কৈ মাছ ২০০-২৩০ ও পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়