সোহেল চৌধুরী হত্যা : শেষ দিনেও দাখিল হয়নি কেস ডকেট

আগের সংবাদ

ভয়াবহ বন্যায় দিশাহারা মানুষ

পরের সংবাদ

হোয়াইটওয়াশ ও করোনায় কাঁপছে কিউইরা

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : লর্ডস ও ট্রেন্টব্রিজে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টেই সমান পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে হেরে এমনিতেই ব্যাকফুটে নিউজিল্যান্ড। ইনজুরিতে ভুগছেন পেসার কাইল জেমিসন ও ক্যাম ফ্লেচার। করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। এ তালিকায় নতুন সংযোজন ডেভন কনওয়ে। ধবলধোলাই এড়াতে ২৩ জুন সিরিজের শেষ টেস্টে হেডিংলিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে কিউইরা। সর্বশেষ করোনা আক্রান্ত নির্ভরযোগ্য ব্যাটার ডেভন কনওয়েকে অন্তত ৫ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। এ নিয়ে মোট পাঁচজনের করোনা আক্রান্তের খবর এলো নিউজিল্যান্ড দলের। ট্রেন্টব্রিজ টেস্ট শুরুর আগের দিন করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের।
টেস্ট শেষ হওয়ার পর অলরাউন্ডার মিচেল ব্রেসওয়েল, ফিজিও বিজয় ভল্লব, স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ ক্রিস ডোনাল্ডসন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই তিনজন শেষ টেস্টের উদ্দেশ্যে লিডসে যাচ্ছেন আলাদা আলাদাভাবে।
ট্রেন্টব্রিজে শেষ দিনের ঝড়ে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে লন্ডনে এসে দলের প্রস্তুতিতে অংশ নিতে যান ডেভন কনওয়ে।
নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষ থেকে কনওয়ের জন্য রিপ্লেসমেন্ট চাওয়া হয়নি। এর অর্থ, হেডিংলি টেস্টের জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ডেভন কনওয়ের জন্য অপেক্ষা করবে সফরকারী কিউইরা। লন্ডনে দলের বাকি ক্রিকেটারদের করোনা টেস্টের রেজাল্ট এসেছে নেগেটিভ।
ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৪৬ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৫২ রান করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। ওই ম্যাচ শুরুর আগের দিনই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। যে কারণে তিনি ট্রেন্টব্রিজে খেলতে পারেননি। দলের নেতৃত্ব দেন টম ল্যাথাম।
পরের টেস্ট শুরু হতে যেহেতু আরো এক সপ্তাহ বাকি এ কারণে কিউইরা আশা করছে ব্রেসওয়েল ও কনওয়ে এর মধ্যে নেগেটিভ হয়ে উঠবেন। উইলিয়ামসন এরই মধ্যে নেগেটিভ হয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলিতে ২৩ জুন হতে যাওয়া শেষ টেস্টের জন্য ১৪ জনের দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। দলে আর কোনো পরিবর্তন নেই। ট্রেন্টব্রিজে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারানো দলটি রেখে দিয়েছে ইংল্যান্ড।
লিডস টেস্টের চূড়ান্ত একাদশে দুজনই যদি জায়গা পান, তাহলে প্রথম যমজ হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে একসঙ্গে টেস্ট খেলবেন ২৮ বছর বয়সী ওভারটন ভ্রাতৃদ্বয়। অস্ট্রেলিয়ার একই দলে স্টিভ ও মার্ক ওয়াহ, নিউজিল্যান্ডের হামিশ ও জেমস মার্শালের মতো যমজরা একসঙ্গে টেস্ট খেলেছেন। এবার কি ইংল্যান্ডও একই পথে হাঁটে কি না দেখার অপেক্ষা।
ক্রেইগের চেয়ে মাত্র তিন মিনিটের ছোট জেমি এই মৌসুমে দারুণ ফর্মে। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারেকে শীর্ষে রাখতে ২১.৬১ গড়ে নেন ২১ উইকেট।
এই সপ্তাহের শুরুতে টন্টনে দুই ভাই মুখোমুখি হন। সমারসেটে ব্যাটিং করার সময় ক্রেইগকে তার ভাইয়ের বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পেয়ে কনকাশনের উপসর্গ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল।
২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ক্রেইগের। এখন পর্যন্ত ৮ টেস্ট খেলে ২১ উইকেট ও ১৮২ রান করেছেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। সর্বশেষ টেস্ট তিনি খেলেন গত মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ট্রেন্টব্রিজে কী অসাধারণ ব্যাটিংটাই না করলেন জনি বেয়ারস্টো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে শেষ দিনে ইংল্যান্ড ২৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে। অবিশ্বাস্য এ জয়ে বেয়ারস্টোর বড় অবদান।
তিনি টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিংয়ে ম্যাচটা নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। অধিনায়ক বেন স্টোকসকে সঙ্গে নিয়ে তার ১৭৯ রানের জুটি এনে দিয়েছে ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত জয়। বেয়ারস্টো খেলেছেন ৯২ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস।
ইনিংসের একপর্যায়ে ৪৮ বলে ৪৩ থেকে বেয়ারস্টো শতক পূর্ণ করেন ৭৭ বলে। ইংল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, টেস্টে তার এমন অবিশ্বাস্য ইনিংসের মূলে আছে আইপিএলের অভিজ্ঞতা।
আইপিএলের এমনই মাহাত্ম্য যে টেস্ট ম্যাচে দলের প্রয়োজনে পুরোপুরি টি-টোয়েন্টি ঢঙে ব্যাটিং করতে পেরেছেন বেয়ারস্টো। অথচ এ ইংলিশ তারকাকে আইপিএলে না খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন অনেকে, অনেকেই বলেছিলেন, আমার আইপিএলে খেলা উচিত নয়। আইপিএলের বদলে আমার কাউন্টি ক্রিকেট খেলা উচিত। টেস্ট সিরিজের আগে যদি চারটি চার দিনের ম্যাচ আমি খেলতে পারি, সেটি নাকি ভালো হবে। কিন্তু ক্রিকেটের বর্তমান সূচি যা তাতে এমনটা হওয়া হয়তো সম্ভব নয়।
এবারের আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেছেন বেয়ারস্টো। দলের প্রয়োজনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও খেলেছেন। ইয়র্কশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলার বদলে তিনি আইপিএলে খেলতে যান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে আইপিএল, তাই কাউন্টিতে খেলার সুযোগ হয়নি তার।
বেয়ারস্টো অবশ্য নিজেও মনে করেন, গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজের আগে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা থেকে দূরে থাকাটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত নয়।
তবে আইপিএলকে ধন্যবাদই জানাতে চান বেয়ারস্টো, এটা এক ধরনের সিদ্ধান্ত ছিল, যেটি আমি তখন নিয়েছি। ব্যাপার না। তবে আইপিএলে যেহেতু বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের বিপক্ষেই খেলতে হয়, তাই এর বেশ ভালো দিকও আছে। আইপিএলে আমি এক ধরনের ছন্দ পেয়েছি। সেই ছন্দ আপনাকে বলে দেবে কখন মেরে খেলতে হবে, কখন ধরে খেলতে হবে। আমরা ভাগ্যবান যে আইপিএলে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের বিপক্ষে বেশ কিছু প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক খেলা আমি খেলতে পেরেছি। চাপের মুহূর্তে ভালো খেলার রসদ পেয়েছি। এ কারণে কয়েক দিন আমি এভাবেই খেলেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়