নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

মেটাভার্স : ডিজিটাল যমজের সাথে হয় দেখা!

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : হুবহু আমার মতো একটা লোককে রাস্তায় দেখা গেছে, যার সঙ্গে নাকি আমার চেহারার অদ্ভুত মিল আছে- এ রকম গল্প হয়তো আমাদের বেশিরভাগই কোনো না কোনো বন্ধুর কাছে শুনেছি। কিন্তু আপনি নিজেই যদি আপনার একটি যমজ তৈরি করতে পারেন, একেবারে হুবহু আপনার মতো দেখতে, তবে কেবলমাত্র ডিজিটাল জগতে, তখন ব্যাপারটা কেমন হবে একবার কল্পনা করুন।
আমরা এমন এক যুগে বাস করছি, যখন আমাদের বাস্তব জগতে যা কিছু আছে তার সবকিছুরই ডিজিটাল কপি তৈরি হচ্ছে- আমাদের শহর, আমাদের গাড়ি-বাড়ি এবং এখন এমনকি আমাদের নিজেদেরও! মেটাভার্স নিয়ে অনেক দিন ধরেই ব্যাপক আলোচনা চলছে। এটি নাকি হবে এমন এক ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল জগত, যেখানে আপনার এক অবতার বা প্রতিমূর্তি ঘুরে বেড়াবে। মেটাভার্সের পর এখন প্রযুক্তি দুনিয়ায় মানুষের ডিজিটাল যমজ কীভাবে তৈরি করা যায়, সেটা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা।
ডিজিটাল যমজ বলতে বোঝানো হচ্ছে বাস্তব পৃথিবীর কোনো মানুষের হুবহু কপি, তবে এর একটা অনন্য উদ্দেশ্য থাকবে- বাস্তব জগতের মানুষটির কীভাবে আরো উন্নয়ন ঘটানো যায় অথবা তাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো যায়। শুরুর দিকে এ রকম ডিজিটাল যমজরা হবে বাস্তব মানুষদের কম্পিউটারের তৈরি করা অত্যাধুনিক ত্রিমাত্রিক প্রতিমূর্তি। তবে এর সঙ্গে যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং ইন্টারনেট অব থিংস (যেখানে ঘরে-বাইরে দৈনন্দিন জীবনের সব জিনিসই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকবে) যুক্ত হবে, তখন ব্যাপারটা ভিন্নমাত্রায় পৌঁছে যাবে। তখন আপনি ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে এমন যমজ তৈরি করতে পারবেন, যে বাস্তব মানুষটির কাছ থেকে সারাক্ষণ শিখবে এবং এরপর সেই শিক্ষা কাজে লাগবে বাস্তব মানুষটির উন্নতি সাধনে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষক রব এনডার্লির ধারণা, এই দশক শেষ হওয়ার আগেই আমরা মানুষের এমন ডিজিটাল সংস্করণ পেয়ে যাব, যারা চিন্তা করতে পারে। তবে তার আগে ভাবতে হবে অনেক কিছুই- যেমন, আপনার কোম্পানি যদি আপনার একটা ডিজিটাল যমজ তৈরি করে বলে, দেখ, আমরা তোমার একটা ডিজিটাল কপি পেয়েছি, যাকে আমাদের কোনো বেতন দিতে হয় না, তোমাকে আমরা আর কেন রাখব- তখন কী হবে? এনডার্লি বলেন, মেটাভার্সের যুগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হবে- এ রকম ডিজিটাল যমজের মালিকানা কার হাতে থাকবে, সেই প্রশ্ন।
মানুষের ডিজিটাল যমজ তৈরির দিকে আমাদের যাত্রা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে, যেমন আগে যে অবতার বা প্রতিমূর্তির কথা উল্লেখ করা হলো। কিন্তু এগুলো এখনো একেবারেই আদিম অবস্থায় আছে।
ফর্মূলা ওয়ান রেসিং এ ম্যাকলারেন এবং রেড বুল টিম তাদের গাড়ির ডিজিটাল যমজ ব্যবহার করে। ডিএইচএলের মতো বিশাল কুরিয়ার কোম্পানি এখন তাদের গুদামঘর এবং সাপ্লাই চেইনের একটি ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করছে যাতে কর্মদক্ষতা বাড়ানো যায়। ম্যাকলারেনের আছে একটি ডিজিটাল টুইন, যেটি গাড়িটির সর্বশেষ মডেলটির উন্নয়নে সাহায্য করছে।
আর আমাদের শহরগুলোকে এখন আরো বেশি করে ডিজিটাল দুনিয়ায় তৈরি করা হচ্ছে। সাংহাই এবং সিঙ্গাপুর- এই দুটি নগরীরই ডিজিটাল যমজ আছে। তবে প্রথম মডেলটির পরিমার্জনের কাজটি ডিজিটাল জগতেই করা হয়। এই ডিজিটাল যমজের আসল কদর আসলে দেখা যাবে স্বাস্থ্যসেবায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়