নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে রাস্তায় ব্যাংকাররা

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খরচ কমানোর নামে করোনার সময় কর্মী ছাঁটাই করেছে অনেক বেসরকারি ব্যাংক। আবার বিভিন্নভাবে অনেককে পদত্যাগ করতেও বাধ্য করা হয়েছিল। পরে চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগে বাধ্য হওয়া এসব কর্মীকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা মানছে না ব্যাংকগুলো।
এমন অবস্থায় হারানো চাকরি ফিরে পেতে গতকাল বুধবার রাস্তায় নেমেছেন ভুক্তভোগী ব্যাংকাররা। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। ছাঁটাই ও পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ব্যাংকাররা জানান, করোনার সময় অন্যায় ও অমানবিকভাবে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক ছয় হাজারের মতো কর্মীকে ছাঁটাই করেছে, যাদের মধ্যে অনেককে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।
তারা আরো বলেন, বেআইনিভাবে পদত্যাগে বাধ্য ও ছাঁটাই করা কর্মকর্তাদের বহালের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্তপূর্বক প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে সার্কুলার (বিআরপিডি সার্কুলার নং-২১ তারিখ (১৬-০৯-২০২১) জারি করেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন করার পরও অনেক ব্যাংক তাদের কর্মীদের বহাল করছে না। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতিতে ব্যাংকগুলোর উন্নয়নে অবদান রাখা কয়েক হাজার অভিজ্ঞ কর্মকর্তা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তাগাদা দেয়ার পরও বেশির ভাগ ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীই সার্কুলার অনুযায়ী কর্মীদের বহালে বিভিন্নভাবে কালক্ষেপণ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো সমাধান আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে আবেদনকারী কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের ব্যবস্থা করা হোক।
ব্যাংকারদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছর বেসরকারি খাতের ৬টি ব্যাংকে কর্মী ছাঁটাই বিষয়ে বিশেষ পরিদর্শনে নামে। পরিদর্শনে দেখা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই ব্যাংকগুলোর মোট তিন হাজার ৩১৩ জন কর্মকর্তা ‘স্বেচ্ছায়’ চাকরি ছেড়েছেন। এর মধ্যে বয়স থাকার পরও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দেখানো হয়েছে তিন হাজার ৭০ জনকে। এছাড়া ২০১ জনকে অপসারণ, ৩০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ১২ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দেখানো বেশির ভাগই জানিয়েছেন, পদত্যাগের জন্য মৌখিকভাবে তাদের একটি সময় দেয়া হয়েছিল। ওই তারিখের মধ্যে পদত্যাগ না করলে কোনো সুবিধা দেয়া হবে না- এ ভয় দেখানো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে বাধ্য হয়ে তারা পদত্যাগ করেন।
এরপরই ব্যাংক কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধে গত ১৬ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়া কর্মীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না। পাশাপাশি মহামারি কোভিড চলা সময়ে চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ব্যাংককর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়