নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে ১৮ ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন : নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্যদের বের করে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ১৩টিসহ ৬ উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে পটিয়া-আনোয়ারা ছাড়া অন্য ১৬ টি ইউনিয়নে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া হয়। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ৭ প্লাটুন বিজিবি, শতাধিক র‌্যাব ও প্রায় দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রটরা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন। এরপরও কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থীদের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতিসহ বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে।
বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট ছাড়া অন্যদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ নম্বর ওয়ার্ডে আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া আনোয়ারুল উলুম বালক-বালিকা মাদরাসায় ভোটগ্রহণের আগে থেকে নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্যদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠে খোদ প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে। এছাড়া নুরানী এবতেদায়ী মাদরাসা, সরল বাইতুল হামিদ তালীমুল কুরআন মাদ্রাসা, মিনজিরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের পিটিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রের পাশ থেকে বন্দুক, লাঠি ও আটটি হেলমেট উদ্ধার করেছে র‌্যাব সদস্যরা। বেলা ১২টার দিকে ছনুয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ছেলবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশের লবণ মাঠ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র ও হেলমেট উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব-৭র চান্দগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, কেন্দ্রের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বন্দুক, ৮টি হেলমেট ও কিছু লাঠি পাওয়া গেছে। বাঁশখালী উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সকাল থেকেই র‌্যাব মাঠে ছিল বলে জানান তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আলম বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এজেন্ট বের করে দেয়ার কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতি ছাড়া কোথাও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের ১৮ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩২১ জন। ১৮টি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৪ জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়