আবহাওয়ার পূর্বাভাস : অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

পরের সংবাদ

সার সংকটের আশঙ্কা : ১৮০০ হেক্টর আউশ চাষে বরাদ্দ ২০০ টন

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম এ মান্নান, কুতুবদিয়া, (কক্সবাজার) থেকে : কুতুবদিয়ায় চলতি আউশ মৌসুমে সার সংকটে পড়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে ১৮০০ হেক্টর জমির জন্য সার বরাদ্দ ২০০ টন। উপজেলার ৬ ইউনিয়নে মোট ৫০ টন (১০০০ বস্তা) ইউরিয়া সার বরাদ্দ পেয়েছে ইউনিয়ন ও খুচরা বিক্রেতারা। আউশ মৌসুমে এই স্বল্প বরাদ্দের সার ৯০ হেক্টর জমিতে বীজতলায় ব্যবহারেই শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করেন চাষি ও ডিলাররা। উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৮০০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ছিল সাড়ে ১৬০০ হেক্টর। জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে দ্বীপ কুতুবদিয়ায় সবচেয়ে বেশি আউশ চাষ হয়ে থাকে।
দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন ডিলার মো. মঈন উদ্দিন জানান, চলতি আউশ উৎপাদন মৌসুমে জুন মাসে তিনি ১৬০ বস্তা ইউরিয়া সার বরাদ্দ পেয়েছেন। গত বছর জুন মাসে বরাদ্দ ছিল ৫০০ বস্তা। অথচ এবার বেড়িবাঁধ নির্মাণের ফলে উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং ও লেমশীখালী ইউনিয়নে আউশ চাষে জমির পরিমাণ বেড়েছে। জমির পরিমাণ বাড়লেও ইউরিয়া সারের বরাদ্দ এবার কমানো হয়েছে ৩ ভাগের দুই ভাগ। এই স্বল্প সার চাষিদের আউশের বীজতলায় ব্যবহারেই শেষ হবে। যে কারণে ইউরিয়া সারের ঘাটতি দেখা দেবে বলে তিনি মনে করেন। দক্ষিণ ধুরুং ২নং ওয়ার্ডের আউশ চাষি মিজবাহ উদ্দিন, উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কলিম উল্লাহ, ৪নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেম বলেন, আগে লবণাক্ততার ফলে আউশ চাষ কম হতো। এবার শুরু করছেন। কিন্তু বীজতলা তৈরির শুরু থেকেই সার কম বরাদ্দ শুনে আসছেন। আগামী মাসের ১০-১৫ তারিখের মধ্যে আউশের চারা রোপণ শেষ হবে। অথচ ওই মাসে সময়মতো সার মিলবে না। ঘাটতি থাকলে খুচরা সার কিনতে হবে বেশি দামে। উপজেলা ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আউশ উৎপাদনে চলতি বছর মাত্র ৫০ টন বরাদ্ধে ঘাটতি হবেই। গত সনে একই মাসে ১৫০ টন ছিল। এরপরও শেষের দিকে কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়। এবার চাষ বেশি হচ্ছে অথচ বরাদ্দ কমে গেছে। এটা চাষিদের জন্য সুখবর নয়। গত এপ্রিল-মে মাসের ইউরিয়া স্টকে সার থাকার কথা নয় বলেও জানান তিনি।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. নাজেম উদ্দিন বলেন, আউশ চাষে জমির পরিমাণ এবার বেড়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১৮০০ হেক্টর। গত দুমাসের বরাদ্দের প্রায় ৫০ টন ইউরিয়া অবশিষ্ট রয়েছে। জুনের বরাদ্দের সার আউশের বীজতলায় ব্যবহার হলে জুলাই মাসের দেড়শ টন আর অবশিষ্ট সার মিলে পুরো আউশ মৌসুম ব্যবহার হবে। ফলে তিনি ইউরিয়া সার সংকটের আশঙ্কা থাকবে না বলে মনে করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়