আবহাওয়ার পূর্বাভাস : অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন-রাতের তাপমাত্রা

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ভালো ভোটের পর ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা : রিফাতকে জয়ী ঘোষণা > অজ্ঞাত ফোনের পর হামলা > মনগড়া ফল : অভিযোগ সাক্কুর

পরের সংবাদ

জিম্মি শিবগঞ্জের আমচাষিরা : মণে ১২ কেজি বেশি নিচ্ছে আড়তদাররা

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট আমবাজারে ৫০-৫২ কেজিতে এক মণ ধরে আম ক্রয় করছেন আড়তদাররা। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমচাষিরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সমস্যা দ্রুতই সমাধান করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরজমিন কানসাট আমবাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। আম চাষিদের জিম্মি করেই ৫০-৫২ কেজিতে একমণ ধরে আম ক্রয় করছেন আড়তদাররা। এই পরিমাপে আম বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চাষিদের।
আম বিক্রি করতে আসা শ্যামপুর এলাকার আরিফ আলী বলেন, এ বছর গাছে অন্য বছরের চেয়ে আম অনেক কম ধরেছে। এদিকে আম বিক্রি করতে এসে শুনছি ৫২ কেজিতে এক মণ ধরা হবে। এতে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। গত বছরও আমাদের জিম্মি করে মণে ৫০ কেজি নিয়েছেন আড়তদাররা। আর এবার ফের ৫২ কেজিতে মণ নিচ্ছেন। এমন চলতে থাকলে আমরা কীভাবে কীটনাশক খরচ পরিশোধ করব। কানসাট পুখুরিয়া এলাকার বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, আম হচ্ছে কাঁচা পণ্য। গত ৫ বছর থেকে আমরা ৪৫ কেজিতে এক মণ ধরেই আম বিক্রি করতাম। তবে গত বছর হঠাৎ আড়তদাররা ৫০ কেজিতে মণ নেয়া শুরু করে। এবার ফের বলছে ৫২ কেজিতে মণ বিক্রি করতে হবে। এতে আমরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছি। তিনি বলেন, আমবাজারে এক কথা বলে আম কিনেন আড়তদাররা, আর ঘরে গিয়ে ওজনের সময় খারাপ আচরণ করে। আমরা কিছু বলতে পারি না।
কানসাটে আম বিক্রি করতে আসা জিয়াউর নামে এক কলেজ শিক্ষক বলেন, গত ১০ দিন থেকে এ কানসাট বাজারে আম বিক্রি করতে আসছি। এদিনগুলোতে এমন কোনোদিন নেই যে আড়তদারদের সঙ্গে ঝামেলা হয় না। কেউ বলে ৫০ কেজিতে মণ নেবে, কেউ বলে ৫২ কেজি। তবে এবার আমের দাম ভালো আছে। এই প্রতিনিধির কাছে এমন অভিযোগ করেছেন শতাধিক আম চাষি। কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু বলেন, কানসাট বাজারে ওজন নিয়ে একটি ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে। শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম বলেন, কানসাট বাজারে আম চাষিদের জিম্মি করে ৫০ কেজিতে মণ নিচ্ছে আড়তদাররা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন হাজারো চাষি। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আর জেলার সব আম বাজারে এটি ওজনে মণ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত বলেন, কানসাট আম বাজারে ওজন নিয়ে একটি ঝামেলার বিষয় শুনেছি। পরে জেলার অন্য আম বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে এ বাজার চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে আমের মণ ৫২ কেজিতে নিচ্ছে আপনার কাছে শুনলাম। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়