ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

সাবের হোসেন চৌধুরী : আগামী নির্বাচনে জনগণ ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ঢাকা-৯ আসনের সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতুসহ দেশের উন্নয়ন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের জনগণ ভোটের মাধ্যমে শিক্ষা দেবে। গতকাল রবিবার ঢাকার বেগুনবাড়ি বটতলা বালুরমাঠে ৭৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ইউনিটসমূহে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফী। ৭৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নাসরিন আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ূন কবীর। বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, খন্দকার এনায়েত উন্নাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আনিস আহমেদ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ূন কবীর বিপু, সবুজবাগ থানার সভাপতি আশ্রাফুজ্জামান ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাস প্রমুখ।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, শুধু সংগঠনকে শক্তিশালী করলে হবে না। এ দেশের উন্নয়নে যেভাবে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে, সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সাংগঠনিকভাবে বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। পদ্মা সেতুসহ দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণ ভোটের মাধ্যমে ভোটের দিন ষড়যন্ত্রকারীদের শিক্ষা দেবে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের (ঢাকা-৯ আসন) মানুষদের আমরা উন্নত জীবনযাপন

নিশ্চিতের জন্য বদ্ধপরিকর। সবার ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই। এ এলাকায় কোনো পানির সংকট থাকবে না। গ্যাসের সংকট থাকবে না। বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকবে না। এছাড়া এ এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অতীতের যে কোনো সরকারের চেয়ে এ এলাকার বেশি উন্নয়ন করেছেন। আগামীতে আমরা যেন আরো সুন্দরভাবে, গোছানোভাবে সবার পাশে দাঁড়াতে পারি সেই কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় নেতারা ওয়ার্ড, ইউনিট সম্মেলনে আসছেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণীরা আসছেন, যা অতীতে হয় নাই। যারা আওয়ামী লীগকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন, দলের জন্য কাজ করেন তাদের কমিটিতে আনতে হবে। আওয়ামী লীগে শুধু নেতা নয়, সদস্য হওয়াও অনেক গৌরবের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের পথচলার নিদর্শন। নেতৃত্ব, আদর্শ ও দক্ষ কর্মবাহিনীকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা। এ দায়িত্ব তৃণমূলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নিতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, এই সংগঠন দেশ স্বাধীনের জন্য সব আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সংগঠনের কারণে সারা বিশ্ব আমাদের বাংলাদেশ হিসেবে চিনে। তাই এমন কোনো কাজ করবেন না যেন সংগঠনের বদনাম হয়। মুক্তিযোদ্ধার ছেলেদের সুযোগ করে দিতে হবে। যারা মূল আওয়ামী লীগার তাদের সন্তানকে কমিটিতে সুযোগ করে দিতে হবে। নিজ স্বার্থে কাউকে মাই ম্যান করা যাবে না। যাদের চরিত্রে দাগ নেই, তাদের স্থান দিতে হবে। না হলে আমি কমিটিতে স্বাক্ষর করব না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়