ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

অনুমতি ছাড়াই সামাজিক বনায়নের ৫০ গাছ কর্তন : কুলাউড়া

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : নিয়ম না মেনেই কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নে হাজীপুর সড়ক সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির সরকারি সড়কে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ থেকে ৯ জুন প্রায় অর্ধশত আকাশমনি ও বেলজিয়াম গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেলেও এ খবর জানে না স্থানীয় বন বিভাগ। এ ঘটনায় স্থানীয় উপকারভোগীরা ক্ষোভে ফুঁঁসে উঠেছেন। তবে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তাদের ঝড়ে ভাঙা এবং শুকনো রকমের ২-৩টি গাছ কর্তনের কথা মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কাউকে না জানিয়ে সমিতির সদস্য উপকারভোগী আবরার উজ্জামান, আবুল হোসেন, মকদ্দছ আলী ও মৃত আব্দুল বারীর ছেলে সানি ঝড়ে পড়ে যাওয়ার কথা বলে বনায়নের ৫০টি গাছ কেটে ফেলেন এবং বন বিভাগের অনুমতি না নিয়েই তারা এ কাজ করেছেন বলে দাবি করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপকারভোগী নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুল। তিনি বলেন, সামসুল হক সামাদের নেতৃত্বে প্রথমদিন (৫ জুন) ৭-৮ জন শ্রমিককে গাছ কাটতে দেখেন। এ সময় উপকারভাগেী মৃত আব্দুল বারীর ছেলে সানি, উপকারভোগী আবরার উজ্জামান, আবুল হোসেন ও মকদ্দছ আলী উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাদের গাছ কাটতে বাধা দিলে তারা মানেনি। স্থানীয় অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সামাজিক বনায়নের বড় এবং ভালো মানের অনেক কাঁচা গাছ গত কয়েকদিন আগে দিনের বেলা কাটতে দেখছেন। গাছগুলো কাটতে কারো অনুমতি ছিল কিনা তারা তা জানতেন না। হাজীপুর স-মিলের পাশে, হাজীপুর বাজার এবং পাইকপাড়া বাজারে কর্তনকৃত গাছের তিনটি স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বাকি কাঠ রাতের আঁধারে অন্যত্র বিক্রি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুল। অভিযুক্ত সানি বলেন, আমার বাবা আব্দুল বারী বনায়ন সমিতির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর আমাদের ভাগ থেকে বঞ্ছিত করতেই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সমিতির সভাপতি ফারুক আহমদ পান্না বলেন, এতগুলো কাঁচা গাছ কাটার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমি জানি না। জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ওদুদ বক্স মুঠোফোনে বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি তিনি জানেন। ঝড়ে এসব গাছ ও ডালপালা ভেঙে পড়ায় রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। গাড়ির গøাস ভেঙে যায়। গরু-ছাগলের ওপর পড়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া যেগুলো কাটা হয়েছে তা শুকনো গাছ। সমিতির লোকজনই এগুলো কাটছেন বলে তার দাবি। কিন্তু সামাজিক বনায়নের কাঁচা গাছগুলো কর্তনে আপনার অনুমতি ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি অনেকটা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। মুরইছড়া বন বিট কর্মকর্তা অর্জুন কান্তি দস্তিদার বলেন, এভাবে গাছ কাটার বিষয়টি আমি জানি না। সামাজিক বনায়নের সরকারি গাছ বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া কর্তনের কোনো নিয়ম নেই। বন বিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, গাজীপুর বিট কর্মকর্তা আহমদ আলীর মাধ্যমে ২-৩টি শুকনা গাছ কেটে উপকারভোগীদের হেফাজতে রাখার খবর তিনি প্রথমে শুনেছেন। পরে সরজমিন তদন্ত করে গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়